ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

সাতক্ষীরায় ছাত্রীকে শ্লীলতাহানী : অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ০২:১৯ পিএম, ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরসহ একাধিক মামলার আসামি সাতক্ষীরার আখডাখোলা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান মোহনের বিরুদ্ধে স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের রায়হান কবিরের স্ত্রী রেহানা খাতুন বাদী হয়ে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন।

শুনানি শেষে মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ দিয়েছেন বিচারক।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দেবনগর গ্রামের আসাদুজ্জামান মোহন সাতক্ষীরা ছফুরননেছা মহিলা কলেজের গ্রন্থগারিক ও আখড়াখোলা আইডিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত আছেন। তার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুরসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় সে  জেল খেটেছেন। গত ২৭ আগস্ট সকাল ১০টার দিকে দেবনগর গ্রামের শাহিন কবিরের মেয়ে স্কুলছাত্রী আরিনা খাতুন (১৭) রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাচ্ছিল। এসময় আসাদুজ্জামান মোহনের বাড়ির সামনে পৌছানো মাত্র মোহন তাকে জাপটে ধরে টানা হেচড়া করে শ্লীলতাহানি ঘটায়। এ সময় আরিনা খাতুন চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে। এই বিষয়ে রেহানা খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যর প্রতিবাদ করার আসাদুজ্জামান মোহন আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গত ২৮ আগস্ট সকাল ৯টার দিকে রেহানা খাতুন রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আসাদুজ্জান মোহনের বাড়ির সামনে পৌছা মাত্র মোহন তার স্ত্রী রওশান আরা খাতুন একই গ্রামের আক্তারুল ইসলামসহ ৪/৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে তাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় রেহানার গলায় থাকা সোনার চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয় লোকজন রেহানাকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় রেহানা চিকিৎসাধীন অবস্থায় থেকে তার আত্মীয়ের মাধ্যমে থানায় একটি এজাহার দাখিল করে। সদর থানা পুলিশ এজহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণ না করে টালবাহনা শুরু করে। কোনো উপায় না পেয়ে মঙ্গলবার রেহানা খাতুন সাতক্ষীরা চীফ জুুুুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নথিভুক্ত করার জন্য সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আদেশ প্রদান করেন।

সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমদাদুল হক শেখ জানান, আদালত থেকে আদেশের কপি এখনো থানায় পোঁছেনি। আদেশ থানায় পৌছালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এমএএস/আরআইপি