নারী কাউন্সিলরকে পুলিশের ওসির যৌন হয়রানি
রংপুর মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে সিটি কর্পোরেশনের এক নারী কাউন্সিলরকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মহানগর পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সিটি মেয়র ও কাউন্সিলররা।
এ ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (পুলিশ সুপার) শামীমা পারভীনকে প্রধান করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্য হলেন- রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স অ্যান্ড মিডিয়া) আলতাফ হোসেন।
অভিযোগে জানা যায়, গত শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে এলাকার একটি সমস্যা নিয়ে রংপুর মহানগরের কোতোয়ালি থানায় কথা বলতে যান সংরক্ষিত এক নারী কাউন্সিলর। কথা বলার সময় থানার ওসি রেজাউল করিম তাকে উদ্দেশ করে যৌন হয়রানিমূলক অশালীন কিছু কথা বলেন। এ ঘটনায় ওই নারী কাউন্সিলর চরম বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়েন এবং চরম অপমানিত বোধ করেন।
রোববার সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ কাউন্সিলরদের কাছে পুরো বিষয়টি অবহিত করে বিচার দাবি করেন ওই নারী কাউন্সিলর। মেয়র ও কাউন্সিলরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে মেয়রের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন কাউন্সিলর রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবদুল আলীম মাহমুদের সঙ্গে দেখা করে ওসি রেজাউলের বিরুদ্ধে নারী কাউন্সিলরকে ইভটিজিং করার অভিযোগ এনে বিচার দাবি করেন। পরে তারা লিখিতভাবে অভিযোগ দেন পুলিশ কমিশনারের কাছে। অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার ওসি রেজাউল করিমকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় মহানগর পুলিশ।
এ ব্যাপারে রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, এ ঘটনায় জরুরি সভা করে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ দেয়া হয়।
রংপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স অ্যান্ড মিডিয়া) আলতাফ হোসেন বলেন, আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর ওসিকে ছুটিতে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে ওই নারী কাউন্সিলর বলেন, কোতোয়ালি থানার ওসি রেজাউল করিম আমার সঙ্গে চরম অপমানজনক আচরণ করেছেন। একজন জনপ্রতিনিধির সঙ্গে তার এ ধরনের আচরণ দুঃখজনক।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
জিতু কবীর/আরএআর/এমকেএইচ