শাহীন হত্যা : পায়েলের পর রাসেলেরও দায় স্বীকার
বগুড়ায় বিএনপি নেতা ও পরিবহন ব্যবসায়ী মাহবুব আলম শাহীন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে রিমান্ডে থাকা রাসেল মিয়া (২৮) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। সোমবার দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বিল্লাল হোসেনের কাছে এই জবানবন্দি দেন। রাসেল মিয়া (২৮) বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মন্ডলপাড়া এলাকার আবু তাহেরের ছেলে।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, রাসেল পাঁচ দিনের রিমান্ডে ছিল। রিমান্ডেই সে হত্যার দায় স্বীকার করে। এজন্য তাকে আদালতে হাজির করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেয়া হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবারই পায়েল হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে স্বীকারোক্তি দেয়। আর রাসেলকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে থাকার চার দিনের মাথায় সে দায় স্বীকার করে।
বগুড়া সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন গত ১৪ এপ্রিল রাতে উপশহর বাজারে খুন হন। ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে বগুড়া মোটর মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলামসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ১৬ এপ্রিল মামলা করেন নিহত শাহীনের স্ত্রী আকতার জাহান শিল্পী। এজাহারে তিনি অভিযোগ করেন, মোটর মালিক গ্রুপের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণেই আমিনুল তার সহযোগীদের নিয়ে শাহীনকে পরিকল্পিতভাবে খুন করেছে।
ওই মামলার পরদিন রাসেল ও পায়েল নামে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদের মধ্যে পায়েল ছিল এজাহারভুক্ত আসামি। পরে স্বীকারোক্তি দেয়ায় রাসেলের নামও এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আমবার হোসেন জানান, তদন্ত সঠিক পথেই এগুচ্ছে। পলাতক অপর আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
লিমন বাসার/আরএআর/পিআর