হাসপাতালে কাতরাচ্ছে ধর্ষণের শিকার দুই স্কুলছাত্রী
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও ঝিনাইদহের মহেশপুরে দুই স্কুলছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রোববার বিকেলে দুজনকেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে।
ধর্ষিত এক শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্যরা জানান, মহেশপুরে ওই শিক্ষার্থী জ্বরে আক্রান্ত হলে তাকে গ্রাম্য চিকিৎসক সাইফুলের কাছে নেয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে জ্বর একটু ভালো হলে রোববার আবারো তাকে দেখা করতে বলে চিকিৎসক সাইফুল। রোববার সকালে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী একাই চিকিৎসা নিতে গেলে সাইফুল তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে গেলে সাইফুল পালিয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
মহেশপুর থানা পুলিশের ওসি রাশেদুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর রোববার রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এদিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। অপহরণের পর অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে পরিবারের লোকজন অভিযোগ করেন।
জীবননগর থানা পুলিশের ওসি শেখ গণি মিয়া জানান, উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার্থী ওই শিক্ষার্থীকে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অপহরণ করে একই এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে সাখাওয়াত হোসেন শহীদ ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় অপহৃত শিক্ষার্থীর বড় ভাই থানায় মামলা করলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোববার বিকেলে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী সাখাওয়াত হোসেনকেও আটক করা হয়। অপহরণের পর ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম কবীর জানান, রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দুই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে ঝিনাইদহের মহেশপুরের শিক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ধর্ষণের কারণে ওই শিক্ষার্থীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে জীবননগরে ধর্ষণের শিকার হওয়া এসএসসি পরীক্ষার্থীর ডাক্তারি পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
সালাউদ্দিন কাজল/এফএ/এমকেএইচ