চাঁদা না দেয়ায় মাঝির নৌকায় মৎস্য কর্মকর্তার আগুন
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না দেয়ায় উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছের বিরুদ্ধে এক মাঝির নৌকা আগুন দিয়ে পোড়ানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে মাঝি মো. মাকছুদ দাবি করছেন। সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে সোমবার বিকেলে ভূক্তভোগী ওই ব্যক্তি জেলা প্রশাসক, কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। মাকছুদ কমলনগর উপজেলার পাটোয়ারীর হাট ইউনিয়নের চরফলকন গ্রামের আতিক উল্যাহ মাঝির ছেলে।
অভিযোগে বলা হয়, মাকছুদ তরমুজের মৌসুমে চরফলকন গ্রামের আক্তার মাঝির কাছ থেকে ভাড়ায় নৌকা নিয়ে চালান। মূল পেশা জেলে হলেও বছরের এ মৌসুমটিতে তিনি মাছ ধরেন না। গত ১২ এপ্রিল তিনি নৌকাতে উপজেলার পাতাবুনিয়া থেকে মাঝের চর এলাকায় তরমুজ পরিবহনের জন্য শ্রমিক নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কমলনগর মৎস্য কর্মকর্তা তার নৌকার গতিরোধ করে তল্লাশি চালান। ওই নৌকায় মাছ ও জেলের সরঞ্জমাদি পাননি তারা। কিন্তু মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ নৌকা ছেড়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে মাকছুদের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না দেয়ায় মৎস্য কর্মকর্তা সহযোগীদের নিয়ে ওই নৌকাটি আগুনে পুড়িয়ে দেন। এতে প্রায় ৪ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
মো. মাকছুদ বলেন, জেলে হলেও তরমুজের মৌসুমে আমি মাছ শিকারে যাই না। নৌকা ভাড়া নিয়ে এসময়ে চর থেকে তরমুজ আনা-নেয়া করি। কিন্তু ৫০ হাজার টাকা না দেয়ায় মৎস্য কর্মকর্তা আমার নৌকাটি পুড়িয়ে দিয়েছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে জানতে সোমবার বিকেলে কমলনগর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও সাড়া মেলেনি।
তবে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্যাহ বলেন, ওই নৌকাটিতে অবৈধ কারেন্ট জাল ছিল। জালগুলোতে আগুন দিলে নৌকার কিছু অংশ পুড়ে যায়। তবে নৌকার মাঝির থেকে কোনো টাকা দাবি করা হয়নি।
কাজল কায়েস/এএম/জেআইএম