রাবি শিক্ষক শফিউল হত্যায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার রাজশাহী দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক অনুপ কুমার এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজশাহীর কাটাখালী পৌর যুবদলের সাবেক সভাপতি আরিফুল ইসলাম মানিক, আবদুস সামাদ পিন্টু ও সবুজ শেখ। এর মধ্যে সবুজ শেখ পলাতক রয়েছেন। অন্য দুজন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এ মামলার বাকি আট আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এনতাজুল হক বাবু জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রারের করা এই মামলায় গত ১৩ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছিল। এ মামলায় ৩৩ জনের সাক্ষ্য নেয় আদালত। যুক্তিতর্ক শেষে আদালত আজ রায় দিলেন।
লালন ভক্ত ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন মুক্তমনা ও প্রগতিশীল আদর্শের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত ছিলেন। ২০১৪ সালের ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় অধ্যাপক শফিউলকে। পরের দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মুহাম্মদ এন্তাজুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে নগরীর মতিহার থানায় হত্যা মামলা করেন।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই বছরের ২৩ নভেম্বর প্রধান সন্দেহভাজন পিন্টুসহ ছয়জনকে আটক করে র্যাব। পরে পিন্টুর স্ত্রী রেশমাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। ২০১৫ সালের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউস সাদিক জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব শাখায় কর্মরত নাসরিন আখতার রেশমার সঙ্গে শফিউল ইসলামের দ্বন্দ্বের জেরে তার স্বামী যুবদল নেতা পিন্টু লোকজন নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরএআর/এমকেএইচ