নুসরাতের গায়ে আগুন : আরও দুইজন রিমান্ডে
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির (১৮) গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়ার ঘটনায় আরও দুইজনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরাফ উদ্দিন আহম্মেদ এ আদেশ দেন।
এরা হলেন- ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলার শ্যালিকার মেয়ে উম্মে সুলতানা পপি ও যোবায়ের হোসেন।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত জাহান রাফি। নুসরাত সোনাগাজী পৌর এলাকার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামেরর মাওলানা এ কে এম মুসার মেয়ে।
কোর্ট ইন্সপেক্টর গোলাম জিলানী জানান, মাদরাসাছাত্রীর গায়ে আগুন দেয়ার ঘটনায় গতকাল অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ দৌলার সাতদিন, একই মাদরাসার ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক আবছার উদ্দিন ও সহপাঠী আরিফুল ইসলামের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন করেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার উম্মে সুলতানা পপি ও যোবায়ের হোসেনের পাঁচদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।
গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে নুসরাত আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান। এ সময় মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যান। সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
চারদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত জাহান রাফি।
রাশেদুল হাসান/আরএআর/জেআইএম