সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে মরদেহ উদ্ধার : আটক ৩
নাটোরে একটি মাদরাসার সেফটিক ট্যাঙ্কের ভেতর থেকে তানভীর (১১) নামে এক ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শহরের আলাইপুর এলাকার আশরাফুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বায়েজিদ, হুসাইদ ও নাঈম নামে তার তিন সহপাঠীকে আটক করেছে র্যাব-৫। নিহত তানভীর আশরাফুল উলুম মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র এবং শহরের বড়গাছা হাফরাস্তা এলাকার সাইফুল ইসলাম তুষারের ছেলে।
র্যাব জানায়, নাটোর শহরের আলাইপুর এলাকার আশরাফুল উলুম মাদরাসার দুই শিক্ষার্থী বায়েজিদ, হুসাইদ ও তাদের বহিরাগত বন্ধু নাঈম তানভীরকে গত ২৫ আগস্ট রাতে তার কক্ষ থেকে ডেকে নেয়। পরে তাকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ও খুর দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে মরদেহ মাদরাসার পাশের একটি পরিত্যক্ত সেফটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়।
পরে তানভীরের বাবার কাছে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে হত্যাকারীরা। এ ঘটনায় তানভীরের বাবা তুষার পরদিন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এবং বিষয়টি র্যাবকে জানায়। পরে র্যাব-৫ এর সদস্যরা মোবাইল ট্যাকিংয়ের মাধ্যমে বায়েজিদকে আটকের পর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী হত্যা রহস্য উদঘাটন করে এবং অপর ২ জনকে আটক করে।
র্যাব-৫ এর কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মাহাবুব আলম জাগো নিউজকে জানান, আটকরা দু’দিন আগেই তানভীরকে মেরে ফেলেছিল। কিন্তু তারপরও তারা তানভীরের বাবা সাইফুল ইসলামের কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। বিষয়টি তানভীরের বাবা র্যাবকে জানালে মোবাইল ফোনের নম্বর ট্রাকিং করে সোমবার রাতে তার তিন সহপাঠীকে আটক করা হয়। পরে আটকদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সকালে ওই মাদরাসার সেফটিক ট্যাঙ্ক থকে তানভীরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো জানান, ভারতীয় একটি টিভি চ্যানেলের সিরিয়াল দেখে এ হত্যাকাণ্ড ঘটনায় মাদরাসা ছাত্ররা।
এসএস