দারাজের পাঠানো মোবাইল কাপড় কাচা সাবানে পরিণত
অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম দারাজের মাধ্যমে মোবাইল কিনে প্রতারণার শিকার হয়েছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার ভাকুড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন লিটন। গত ৬ এপ্রিল তিনি জেলা শহরের সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস দারাজ থেকে পাঠানো মোবাইল ফোন নিতে গিয়ে প্যাকেট খুলে দেখেন ফোনের বাক্সে তিনটি কাপড় কাচা হুইল সাবান। দারাজের এমন ঘটনায় তিনি ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
আগের সংবাদটি পড়ুন : অনলাইন অর্ডারে ঘড়ির বদলে এলো দুটি পেঁয়াজ
তবে দারাজ থেকে বলা হয়েছে, এ ঘটনাটি সম্বন্ধে অবগত হওয়ার পর দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড ওই কাস্টমারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। কাস্টমারকে অনতিবিলম্বে আগামীকালের মধ্যে সঠিক পণ্যটি ডেলিভারি দেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে। দারাজের দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপে ওই কাস্টমার সন্তুষ্ট হয়েছেন।
এ ঘটনায় মোবাইল ক্রেতা আমজাদ হোসেন লিটন জাগো নিউজকে বলেন, দারাজ অনলাইনে দেয়া বিজ্ঞাপন দেখে স্যামসাং এস-৮ প্লাস মোবাইল অর্ডার করি। দুদিন পর ঠাকুরগাঁও সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস থেকে জানানো হয়, তার নামে একটি প্যাকেট এসেছে। এরপর ৬ এপ্রিল কুরিয়ার অফিসে গিয়ে মোবাইল ফোনটির দাম ৩৬ হাজার ২৭১ টাকা পরিশোধ করি। সেখানেই দারাজ থেকে পাঠানো প্যাকেটটি খোলার পর তিনি বোকা বনে যান।
তিনি জানান, প্যাকেট খুলেই দেখি ভেতরে কোনো ফোন নেই। ফোনের বদলে রয়েছে তিনটি হুইল সাবান।
লিটন বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি দারাজ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, তারা ভুল হয়েছে স্বীকার করে বিষয়টি তদন্ত করে দেখবে বলে আশ্বস্ত করেছেন এবং শিগগিরই একই মডেলের একটি মোবাইল ফোন পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় দারাজের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ফয়েজ জাগো নিউজকে বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে তৃতীয় পক্ষ কুরিয়ার সার্ভিসের ওপর সম্পূর্ণ নজরদারি রাখা অসম্ভব। প্রকৃতপক্ষে এরকম একটি নৈতিক অবক্ষয়জনিত কাজের জন্য তিনিই ব্যক্তিগতভাবে দায়ী, যিনি এই কাজটি করেছেন। আমরা দোষী ব্যক্তির শাস্তির জন্য থার্ড পার্টি কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানটি ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছি। এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সম্প্রতি একইরকম ভুক্তভোগী হয়েছেন লক্ষ্মীপুরের পিয়াস সরকার। তিনি ‘স্মার্ট শপ ঢাকা’ নামে একটি অনলাইন শপে ঘড়ি অর্ডার করেন। এজন্য পরিশোধ করেন এক হাজার ৮০০ টাকা। তিনি প্যাকেট খুলে দেখেন সেখানে ঘড়ির বদলে দুটি পেঁয়াজ।
এমএএস/এমএস