এবার নয়, আগামী বছর অনুমোদন পেলে সংস্কার হবে সড়ক
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার যাত্রীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের এসব খানাখন্দ পানিতে ভরে গিয়ে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। বিপদের আশঙ্কা নিয়েই যানবাহন চলাচল করছে এ মহাসড়কে। দেখলে মনে হয় সড়ক যেন মরণ ফাঁদ।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, ঢাকার সঙ্গে উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর ও দক্ষিণাঞ্চলের কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গায় যাতায়াতের প্রধান রুট হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক। সম্প্রতি এ মহাসড়কের দুই পাশের বেশিরভাগ অংশ সংস্কার করা হয়েছে। তবে মাঝখানের অংশ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার খালকুলা থেকে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিকাটা ১০নং ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকা এখনো সংস্কার করা হয়নি।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আলতাব হোসেন, লিটন কবির, ভ্যানচালক আলী ও সোবাহান সেখ বলেন, সড়কের কোনো কোনো অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে গর্তগুলো পানি আর কাদা হয়ে ধানের ক্ষেতে পরিণত হয়। পুরো সড়কজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য খানাখন্দ রয়েছে। বিশেষ করে মহিষলুটি বাজারের পূর্বপাশে সৃষ্ট হওয়া বিশাল আকারের গর্তটি যাত্রীদের জন্য মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।
পরিবহন শ্রমিক সাদ্দাম হোসেন ও আবু কালাম বলেন, হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কটি অনেকদিন ধরেই দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ মহাসড়কে সংস্কারকাজ শুরু হওয়ার পর চালক ও যাত্রীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল। ইতোমধ্যে সড়কের দুই প্রান্তের বেশিরভাগ অংশ সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু খালকুলা থেকে কাছিকাটা পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করা হয়নি। ফলে এ সড়ক এখন আমাদের গলার কাঁটা। বিশেষ করে মহিষলুটি বাজারের পূর্বপাশে সৃষ্ট বিশাল গর্ত মাড়িয়ে যানবাহন নিয়ে যাওয়া মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে আসার মতো।
তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু বলেন, মহাসড়কে খানাখন্দ আর গর্তের কারণে মাঝেমধ্যেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খালকুলা থেকে মহিষলুটি বাজার পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘলাইন দেখা যায়। স্থানীয়রা মহাসড়কটি নিয়ে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন।
সিরাজগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আনোয়ার পারভেজ বলেন, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে কাছিকাটা টোলপ্লাজা পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার মহাসড়ক আমাদের সিরাজগঞ্জ সওজের আওতায় রয়েছে। ইতোমধ্যে এ সড়কের ১৬ কিলোমিটার সংস্কার করা হয়েছে। বাকি নয় কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য অধিদফতরে পৃথক প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্পের প্রস্তাবটি ফিরে এসেছে। আবার ডিজাইন করে পাঠাতে বলা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে আমাদের সার্ভে কাজ চলছে। তবে চলতি অর্থবছরে প্রকল্পটি অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আগামী অর্থবছরে প্রকল্পটির অনুমোদন হলে এ মহাসড়কের বাকি নয় কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এএম/জেআইএম