৬ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ, ৪ জন রিমান্ডে
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে ছয় সন্তানের জননীকে গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার চারজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন নোয়াখালীর ২নং আমলি আদালতের বিচারক নবনীতা গুহ। এর মধ্যে প্রধান আসামি বেচু মাঝির দুইদিন ও রুবেল, আরমান এবং রায়হানের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
একই দিনে ধর্ষণ মামলার আরেক আসামি সিরাজ মিয়ার ছেলে ফজলু একই আদালতে আত্মসমর্পণ করলে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল একই আদালতে ধর্ষণ মামলার আসামি আবুল বাশারের তিনদিন ও ইউসুফ মাঝির দুইদিন রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি তিনজন আত্মসমর্পণ করেছে। এর মধ্যে চারজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
এদিকে, নির্যাতিত গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষায় গণধর্ষণের আলামত পেয়েছেন চিকিৎসকরা। প্রতিবেদনটি ইতোমধ্যে নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দাখিল করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
৩১ মার্চ চতুর্থ ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দিন রাতে স্থানীয় চরজব্বার বাজার থেকে স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে ইউসুফ মাঝি ও বেচু মাঝির নেতৃত্বে ১০-১২ জন ওই নারীর স্বামীর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মারধর করে। পরে স্বামীকে এক পাশে আটকে রেখে গৃহবধূকে পাশের কলা বাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়।
স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই রাতে তাদের নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন নির্যাতিতার স্বামী আটজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও চারজনসহ মোট ১২ জনকে আসামি করে চরজব্বার থানায় মামলা করেন।
মিজানুর রহমান/এএম/জেআইএম