৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বন্দিদশা থেকে উদ্ধার নারীসহ ৬২ জন
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় ইট তৈরির বকেয়া মজুরি চাওয়ায় নারী ও শিশুসহ ৬২ জনকে একটি ঘরে দুইদিন আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ইটভাটার মালিক আলিম ও মিজানের বিরুদ্ধে।
বুধবার রাতে ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে বন্দরের ফুনকুল এলাকায় অবস্থিত এ বি এফ ব্রিক ফিল্ড থেকে নারী ও শিশুসহ ৬২ জন শ্রমিককে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার পুলিশ তা নিশ্চিত করে।
কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই আনোয়ার হুসাইন জানান, ৩ মার্চ থেকে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় ইট তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। গত ১ এপ্রিল রাতে ইটভাটার মালিক আলিম ও মিজানের কাছে ইট তৈরির বকেয়া মজুরি ৫০ হাজার ৫০০ টাকা চায় ইটভাটা শ্রমিক কুতুবউদ্দিন। কিন্তু তারা তা না দিয়ে উল্টো শ্রমিকদের মারধর ও নির্যাতন চালিয়ে ইটভাটার একটি ঘরে আটকে রাখেন।
অনাহারে দুইদিন অবরুদ্ধ থাকার পর ইটভাটা শ্রমিকরা ৯৯৯-এ ফোন করে তাদের উদ্ধারের জন্য সহযোগিতা চান। পরে ৯৯৯ এর সংবাদের ভিত্তিতে কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ওই ইটভাটার ঘর থেকে ১৪ জন নারী ও ৯ জন শিশুসহ মোট ৬২ জনকে উদ্ধার করে।
তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মালিক মিজান ও আলিম পালিয়ে যায়। পরে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ইয়ানবীর মাধ্যমে বকেয়া ৫০ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করে শ্রমিকদের শেরপুর নিজ গ্রামে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বন্দর ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আজিজ দেওয়ানের কাছে জানতে তাকে ফোন করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মো. শাহাদাত হোসেন/বিএ