ধর্ষকের ভয়ে গ্রাম ছাড়লেন শিশুর মা-বাবা
যশোর শহরতলীর ধর্মতলা এলাকার শিশু কথা আরেফিন তৃষা (৬) গণধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্ত থমকে আছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের স্বজনরা।
এ ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ধর্মতলা এলাকার সন্ত্রাসী শক্তি গাজীও গ্রেফতার হয়নি। এ পরিস্থিতির মধ্যে নিহতের বাবা-মা নিরাপত্তার অভাব ও ধর্ষকের ভয়ে এলাকা ছেড়ে এখন নড়াইলে অবস্থান করছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, যশোর শহরতলী ধর্মতলা এলাকার ইজিবাইকচালক তরিকুল ইসলামের মেয়ে শিশু তৃষা ৩ মার্চ বিকেলে আরবি পড়ে বাসায় ফেরে। এরপর খেলতে বের হয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। ২৪ ঘণ্টা পর বাড়ির পেছনের ডোবায় তার বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া যায়। তৃষাকে গণধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ময়নাতদন্তে উঠে আসে। ঘটনার পর স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা দোষীদের শাস্তির দাবিতে ধর্মতলায় অবস্থান নিয়ে যশোর-ঝিনাইদহ সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় স্থানীয় আউয়ালের ছেলে সাইফুল ইসলামকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পায়।
৬ মার্চ ঘটনায় জড়িত মাদক ব্যবসায়ী শামীম (৩০) ক্রসফায়ারে নিহত হন। এছাড়া গেল এক মাসে মামলার আর কোনো অগ্রগতি নেই।
এদিকে, ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ধর্মতলা এলাকার ত্রাস শক্তি গাজী গ্রেফতার হয়নি। তার নেতৃত্বেই এ গণধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে নিহতের স্বজনরা দাবি করেছেন।
নিহতের বাবা তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, ইজিবাইকের ভাড়া চাওয়া নিয়ে বছর তিনেক আগে শক্তি গাজীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনায় প্রতিশোধ নিতে শক্তির নেতৃত্বে তৃষাকে গণধর্ষণ ও হত্যা করা হয়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, জড়িতরা এলাকার মাস্তান। আর তিনি এলাকার ভাড়াটিয়া। ফলে সেখানে নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন। এজন্য গ্রামের বাড়ি নড়াইলে চলে এসেছেন। এখন মামলার আর অগ্রগতি নেই।
জানতে চাইলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শোয়েব বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাইফুল ইসলামকে তিনদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। আরও কেউ কেউ জড়িত রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মিলন রহমান/এএম/এমএস