অধ্যক্ষের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় চাকরি হারালেন প্রশিক্ষক
ঝালকাঠি সরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ সাদেকা সুলতানার বিরুদ্ধে ড্রাইভিং প্রশিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিনের কাছে মাসিক বেতনের অর্ধেক ঘুষ দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উৎকোচ হিসেবে বেতনের অর্ধেককের বেশি তাকে না দেয়ায় চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ড্রাইভিং প্রশিক্ষকের মাসিক বেতন ২৬ হাজার ৪০০ টাকা। এ ব্যাপারে গিয়াস উদ্দিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর অধিনস্ত অর্থ মন্ত্রণালয়ের দক্ষ ড্রাইভিং (এসইআইপি) প্রকল্পর আওতায় ঝালকাঠি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ড্রাইভিং প্রশিক্ষক নিয়োগের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি দেখে ওই পদে আবেদন করেন মো. গিয়াস উদ্দিন। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গিয়াস উদ্দিন ড্রাইভিং প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান। নিয়োগের শর্তানুযায়ী প্রতি কর্ম দিবস ১২০০/- টাকা হিসেবে মাসে ২২ কর্মদিবসে বেতন ২৬৪০০/- টাকা।
গিয়াস উদ্দিন গত ১ জানুয়ারি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগদান করেন। গত ১৬ মার্চ গিয়াস উদ্দিনকে জানুয়ারি মাসের বেতনের চেক প্রদান করা হয়। চেক প্রদান করে অধ্যক্ষ সাদেকা সুলতানা গিয়াস উদ্দিনকে বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা উঠিয়ে আপনি ১২ হাজার টাকা নিবেন বাকি টাকা আমাকে দিয়ে যাবেন এবং আমি যা বলি শুনবেন। আমার কথা শুনলে সারা জীবন চাকরি করতে পারবেন আর না শুনলে আপনাকে অব্যাহতি দিয়ে দেব।
গিয়াস উদ্দিন সাদেকা সুলতানাকে বলেন নিয়োগের শর্তানুযায়ী আমাকে ২৬ হাজার ৪০০ টাকা বেতন দিতে হবে তা না হলে আমি চাকরি করবো না। গিয়াস উদ্দিন সাদেকা সুলতানার অবৈধ প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ৩১ মার্চ তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সাদেকা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করলে ঘুষ দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, গিয়াস উদ্দিনকে অস্থায়ীভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। কর্মে অদক্ষতা এবং প্রশিক্ষণকালে কেন্দ্রে ধুমপান করার কারণে তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
আতিকুর রহমান/এমএএস/জেআইএম