রাতে কলেজছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে শিক্ষক ধরা
টাঙ্গাইলের গোপালপুরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক কলেজছাত্রীর বাড়িতে রাত্রিযাপনকালে মন্টু মিয়া নামে এক স্কুলশিক্ষককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন। পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে গত রোববার (৩১ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত মন্টু মিয়া উপজেলার ধোপাকান্দি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী যখন ধোপাকান্দি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণিতে পড়তো তখন ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মন্টু মিয়ার সঙ্গে তার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। পরে ওই শিক্ষক টাঙ্গাইল শহরে এক বন্ধুর বাসায় নিয়ে ওই ছাত্রীকে মুখে মুখে বিয়ে করেন। বয়স হলে পরে কাবিন নামা করার আশ্বাসও দেন। এ আশ্বাসেই তিনি প্রায় এক বছর ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক চালিয়ে আসছিলেন।
গত শনিবার রাতে শিক্ষক মন্টু মিয়া গোপনে ওই ছাত্রীর বাড়িতে রাত্রিযাপনকালে গ্রামবাসী তাকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে গাছে বেঁধে রাখে। রাতে এ খবর পেয়ে পুলিশ আহত শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগ এনে আটক শিক্ষককের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরদিন রোববার আটক শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে অধ্যায়নরত।
এ বিষয়ে গোপালপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন জানান, ওই ছাত্রীর বাড়িতে রাত্রিযাপনকালে আটক শিক্ষক মন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তাকে রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও প্রতারণার শিকার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মন্টু মিয়া দুই সন্তানের জনক। তিনি বিয়ের মিথ্যে প্রলোভন দেখিয়ে আর প্রতারণার মাধ্যমে নাবালিকা ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে আসছিলেন।
আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/এমকেএইচ