পড়েছে ২০০ গ্রাম ওজনের শিল, প্রাণ গেল বৃদ্ধের
নেত্রকোনার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঝড়ো হাওয়া। সেই সঙ্গে হয়েছে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি। এ শিলাবৃষ্টি তাণ্ডব চালিয়েছে ফসলি জমিতে। পাশাপাশি হয়েছে ব্যাপক বজ্রপাত। বজ্রপাতে সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নে বাহাদুরপুর গ্রামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তার নাম আছর উদ্দিন (৬৫)। বাহাদুরপুর এলাকার মগড়া নদীর পাড়ে কৃষিজমিতে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হন তিনি। রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে দুর্গাপুর উপজেলায় বিকেল থেকে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রপাতের সঙ্গে আধা ঘণ্টাব্যাপী চলে শিলাবৃষ্টি। এতে উঠতি বোরো ফসল ও সবজির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
দুর্গাপুর উপজেলার প্রায় সাতটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হওয়ায় চন্ডিগড়, বাকলজোড়া, কাকৈরগড়া ও বিরিশিরি ইউনিয়নের বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয় কৃষক আব্দাল হোসেন, অবনী কান্ত, আ. মোতালেব ও মো. ছোবাহান জানিয়েছেন, দুই থেকে আড়াইশ গ্রাম ওজনের শিল পড়েছে। এমন শিল আগে কখনো দেখিনি আমরা। এসব শিল পড়ে অনেক ধান মাটিতে পড়ে গেছে। এবার ধানের চেয়ে শত শত একর জমিতে চিটা বেশি পাওয়া যাবে। শিলের প্রভাবে তরমুজ, বাদাম, ডাল ও দেশি আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, এ বছর উপজেলায় প্রায় ১৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। আজ যে পরিমাণ শিলাবৃষ্টি হয়েছে এতে ৩০ ভাগ ধানের ক্ষতি হওয়ায় সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া কুমড়া, তরমুজ, শাক-সবজি আবাদ হয়েছে ৪০০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ৭০ হেক্টর জমির উৎপাদিত ফসল পুরোপুরি বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
এদিকে, রোববার সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে শিলাসহ মুষলধারে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তবে এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
কামাল হোসাইন/এএম/জেআইএম