আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তিবিদদের পরামর্শ নিন : মোস্তাফা জব্বার
বহুতল ভবনে আগুন নিয়ন্ত্রণে তথ্যপ্রযুক্তিবিদদের পরামর্শ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
শনিবার রাজশাহীতে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান তিনি। দুপুরে হাইটেক পার্কের নির্মাণকাজের অগ্রগতি পরিদর্শন আসেন তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী।
এ সময় পার্কের বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে নির্মাণকাজের অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। পরিদর্শনকালে তার সঙ্গে ছিলেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদেরসহ প্রকল্পের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমাদের যে প্রযুক্তি রয়েছে তা ব্যবহার করে হাজার মাইল দূর থেকেও অগ্নিকাণ্ডের আগাম সতর্কবার্তা বা অগ্নিকাণ্ড সম্পর্কিত তথ্য দেয়া সম্ভব। যারা ভবন নির্মাণ করেন তারা চাইলে এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন। এতে অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ এমনকি ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমে আসবে।
সংশ্লিষ্ট দফতরের শিথিলতার কারণে বহুতল ভবন নির্মাণে অনিয়ম হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, যারা ভবন নির্মাণ নীতিমালা অমান্য করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে সরকার। সংঘটিত আগুনের ঘটনাগুলোতে ফায়ার সার্ভিসকে দায়ী করার মতো কোনো সূত্র নেই। অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। নীতিমালা না মেনেই ভবন নির্মাণ হয়েছে। জরুরি বহির্গমন পথ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দাহ্য পদার্থ দিয়ে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন করা হয়েছে। তবে হাইটেক পার্ক নির্মাণের ক্ষেত্রে এসব বিষয় মাথাই রেখেই কাজ হচ্ছে।
হাইটেক পার্কের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা দেশব্যাপী হাইটেক পার্ক করছি। এর মধ্যে গাজীপুরের কালিয়াকৈর, সিলেট এবং রাজশাহীর হাইটেক পার্ক সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাচ্ছে। আমরা যে দুনিয়ায় বসবাস করি, আগামী ১০ বছর পর এই দুনিয়ার আমূল রূপান্তর হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বলছি, এই ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্থ ডিজিটাল বিশ্ব। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু ডিজিটালাইজেশন হবে। সেই কারণেই আমাদের এই হাইটেক পার্ক নির্মাণ।
রাজশাহীর হাইটেক পার্ক নির্মাণ প্রসঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী বলেন, আগামীর প্রযুক্তি সৃজনশীলতার ওপর নির্ভরশীল। মেধাভিত্তিক শিল্পের জন্য যে অনুকূল পরিবেশ দরকার তা এই পার্কে থাকবে। রাজশাহীকে কেন্দ্র করে বৃহত্তর উত্তরাঞ্চলের জন্য ডিজিটাল শিল্পনগরী হয়ে উঠবে এই পার্ক। নতুন প্রজন্মের কর্মসংস্থান ও তাদের জন্য ঠিকানা তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/এমকেএইচ