এসপিকে নিজের জায়গা দেখিয়ে দিলেন মন্ত্রী
ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি অনুযায়ী মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ে পুলিশ সুপার কোনো ফোরামে ঢালাওভাবে মন্তব্য করতে পারেন না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জে আইন শৃংখলা কমিটির এক সভায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জেলা পুলিশ সুপারের একটি মন্তব্যকে ‘বিতর্কিত’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি।
বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী এ সময় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘উপজেলা নির্বাচনে কেউ সংসদ নির্বাচন করে যাবেন, সেটি ভুলে যান।’ গত ১০ মার্চ জেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় পুলিশ সুপার হারুনুর রশীদের এমন বক্তব্য মোটেও ঠিক হয়নি। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্ট বহু অভিযোগ করে এলেও একটি প্রমাণও দিতে পারেনি। সেখানে পুলিশ সুপার সরকারি কর্মকর্তা হয়ে এমন মন্তব্য করতে পারেন না।
গত ১০ মার্চ জেলার সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ তার বক্তব্যে ‘নৌ চাঁদাবাজিতে মন্ত্রীর তদবির ছিল, চাঁদাবাজি ঠেকাতে মন্ত্রীর সঙ্গে আমাকে ঝগড়া করতে হয়েছে’ এমন একটি মন্তব্য করেন।
এ ব্যপারে গণমাধ্যম কর্মীরা মন্ত্রীকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘বিআইডব্লিউটিএর টেন্ডার না হওয়ায় তাদের নিজেদের (সরকারি) লোকজন খাস কালেকশন করছিল। তখন পুলিশ সরকারি লোকদের গ্রেফতার করলে সরকারের পক্ষ থেকে আমাকে প্রশ্ন করা হয়। তাই আমি এসপিকে জিজ্ঞেস করি, খাস টোল আদায়ের সময় সরকারি লোক ধরেছেন কেন? এগুলো আমাদের লোক ছিল না। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি বা পদমর্যাদা ক্রম অনুসারে মন্ত্রী-এমপিদের নিয়ে একজন পুলিশ সুপার কোনো ফোরামে ঢালাওভাবে মন্তব্য করতে পারেন না।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের এমপি নজরুল ইসলাম বাবু ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার মোহাম্মদ আলী।
শাহাদাত হোসেন/এফএ/জেআইএম