আইসিইউ আছে সেবা নেই
সংকটাপন্ন ও জটিল রোগীদের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) বিভাগ চালু করা হলেও সেবা মিলছে না। চার বছর আগে আইসিইউ বিভাগটি বেশ ঘটা করে উদ্বোধন করা হলেও এর কার্যক্রমই শুরু হয়নি। ফলে আইসিইউ সেবা নিতে রোগীদের ঢাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে।
সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যন্ত্রপাতি ঠিক থাকলেও জনবল সংকটের কারণে আইসিইউ বিভাগের সেবাটি চালু করা যাচ্ছে না।
মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনের একটি রুমে ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিইউ বিভাগ চালু করা হয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য তৎকালীন প্রতিমন্ত্রী এবং বর্তমান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন এটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু চার বছরেও এর সুফল মেলেনি।
রোববার হাসপাতালে গিয়ে আইসিইউ রুমটি তালাবদ্ধ দেখা যায়। এরপর কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে একজন নার্স এসে রুমটি খুলে দেন। ভেতরে দেখা যায়- দুটি শয্যা এবং আইসিইউয়ের সকল যন্ত্রপাতি পড়ে আছে। মাকড়সা বাসা বেঁধেছে অনেক স্থানেই।
হাসপাতালে সেবা নিতে আসা মশিউর রহমান ও আবুল কালামসহ কয়েকজন জানান, আইসিইউ বিভাগ চালু হওয়ায় তারা খুবই খুশি হয়েছিলেন। কারণ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ সেবা নিতে অনেক খরচ করতে হয় এবং অনেক সময় শয্যাও মিলে না। কিন্তু চার বছরেও মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে আইসিইউ বিভাগটি পুরোপুরি চালু না হওয়া খুবই দুঃখজনক। তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে এই বিভাগটি কার্যকর করাসহ হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মান আরও বাড়ানোর দাবি জানান।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সাইফুল ইসলাম জানান, এই হাসপাতালে যখন আইসিইউ বিভাগ চালু করা হয় তখন তিনি দায়িত্বে ছিলেন না। তবে জেনেছেন বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক ধার করে বিভাগটির উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু কার্যকরী জনবল নিয়োগ এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়নি। প্রশিক্ষিতরা ছাড়া সাপোর্ট স্টাফ দিয়ে এই বিভাগ চালানো সম্ভব নয়। তাই কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি স্বাস্থ্যমন্ত্রীও জানেন।
তিনি আরও জানান, ২০১৭ সালে মানিকগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও এখনো ১০০ শয্যারও কম জনবল দিয়েই সেবা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
বি.এম খোরশেদ/আরএআর/পিআর