‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ স্লোগানে মুহিতের গাড়ি আটকাল শিক্ষার্থীরা
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) শিক্ষার্থী মো. ওয়াসিম আব্বাসকে বাস থেকে ফেলে হত্যার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করেছেন সিকৃবির শিক্ষার্থীরা।
সিকৃবিসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নগরের চৌহাট্টা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। ফলে নগরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।
এরই মধ্যে সিলেটের চৌহাট্টায় শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের মুখে পড়েন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনুরোধেও সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের গাড়ি ছাড়েননি বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
এর কিছুক্ষণ পর সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে আসেন শিক্ষার্থীদের মঞ্চে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে সংহতি প্রকাশ করেন তিনি।
আবুল মাল আবদুল মুহিত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ এবং তাদের দাবির প্রতি সমর্থন জানানোর কারণে শিক্ষার্থীরা তাকে সাধুবাদ জানান। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধে সাবেক অর্থমন্ত্রীর গাড়ি ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার দুপুর ১২টা থেকে শিক্ষার্থী ওয়াসিম হত্যার প্রতিবাদে নগরীর চৌহাট্টায় অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন সিকৃবির শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের অবরোধে চৌহাট্টার চারদিকে শত শত গাড়ি আটকা পড়ে। দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে শত শত যানবাহন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চৌহাট্টায় সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের গাড়ি পৌঁছালে অবরোধের মুখে পড়ে। এ সময় মুহিতের গাড়ি দেখেও রাস্তা ছাড়েননি শিক্ষার্থীরা।
পরে মুহিতের গাড়ি থেকে নেমে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থানে ছিলেন অনড়। তারা ওয়াসিম হত্যার বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ তুলবেন না, কোনো গাড়ি ছাড়বেন না বলে জানান।
এ অবস্থায় আবুল মাল আবদুল মুহিতের গাড়ির পেছনে থাকা সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশফাক আহমদ গাড়ি থেকে নেমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং মুহিতের গাড়ি ছাড়তে অনুরোধ জানান। কিন্তু শিক্ষার্থীরা কোনো কথাই শোনেননি। তাদের দাবি একটাই, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।
শেষ পর্যন্ত সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। তিনি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সমর্থন দেন। পরবর্তীতে মুহিতের গাড়ি ছেড়ে দেন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে তার গাড়ি সিলেট বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়।
ছামির মাহমুদ/এএম/পিআর