সেই শিশু নির্যাতনকারী আ.লীগ নেতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় শিশু সজিবকে নির্যাতনকারী ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। নির্যাতনকারীর নাম ফজলুল হক চৌধুরী বাবলু। তিনি উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সতগাঁও গ্রামের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার দুপুরে চান্দুরা ইউনিয়নের আমতলি দক্ষিণ বাজারে সজিব (৮) নামে এক শিশুকে চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করেন বাবলু। সজিব একই ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের রেজেক মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে।
স্থানী সূত্রে জানা গেছে, আমতলি দক্ষিণ বাজারে বাবলুর কাঠের দোকানে রড দিয়ে একটি কাঠের ছাল তোলার চেষ্টা করে সজিব। পরে বাবলু সজিবকে ধরে পেটাতে থাকেন। এ সময় অনেকেই সজিবকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসলেও বাবলু বাধা দেন। বাবলু শিশু সজিবকে থাপ্পড় দিতে দিতে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ইতিমধ্যে সজিবকে মারধরের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
‘আমরাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপে আল মাহমুদ ভূইয়া নামে এক যুবকের পোস্ট করা ৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে সজিবকে নির্যাতনকারীর পায়ে ধরে ‘আমি কিছু করিনি’ উল্লেখ করে তাকে ছেড়ে দেয়ার আকুতি জানাতে দেখা গেছে। কিন্তু বাবলু সেই আকুতি না শুনে সজিবের শার্টের কলার ধরে সামনের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে পড়েছে সজিব।
সজিবের মা জরিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে লাকড়ি আনার জন্য বাজারে গিয়েছিল। পরে বাবলুর দোকানের সামনে বসে থাকার সময় গাছের ছাল তোলার অভিযোগে তাকে গলা টিপে ধরে আছার মারেন বাবলু। এরপর সজিবকে টেনে-হিঁচড়ে দোকানের ভেতরে নিয়ে থাপ্পড় ও কিল-ঘুষি মেরেছে। অনেক মানুষ এসে বাবলুকে অনুরোধ করলেও সজিবকে তিনি ছাড়েননি। আমি খবর পেয়ে সেখানে যাওয়ার পর বাবলু আমার কাছে গাছের ছাল তোলার জন্য দুই লাখ টাকা জরিমানা দাবি করেন আর না হলে সজিবকে মেরে দুই লাখ টাকা দিয়ে দিলেও তার কিছু হবে না বলে জানান।
তবে শিশু নির্যাতনের ব্যাপারে বক্তব্য জানতে ফজলুল হক চৌধুরী বাবলুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির জাগো নিউজকে বলেন, এ ঘটনায় আমাদের কাছে কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আজিজুল সঞ্চয়/আরএআর/জেআইএম