ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ভোটার নেই, ঘুমাচ্ছেন নিরাপত্তা কর্মীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক | বগুড়া | প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ১৮ মার্চ ২০১৯

সোমবার বেলা পৌনে ২টা। চলছে পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ। বগুড়া শহরের মধ্যে নারুলী উত্তরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। ভেতরে ঢুকে দেখা গেল একটি স্কুলের মধ্যেই চারটি কেন্দ্র।

এই কেন্দ্রের মাঠ পুরোটাই ফাঁকা। দায়িত্বরত আনসার সদস্য বেঞ্চের ওপর ঘুমাচ্ছেন। বগুড়া সদর উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটারের ভোটকেন্দ্র এটি। এখানকার মোট ভোটার ৯ হাজার ৪৪৭টি। বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত ছয় ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ২৮৪টি।

নারুলী উত্তরণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের একটি অংশের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিখিল চন্দ্র বসাক। তিনি জানালেন, তার কেন্দ্রে ২৮৪৪ জন মহিলা ভোটার। বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ২৪টি। ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম।

তার পাশের কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মাহবুব আলম জিলানী। তার কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২০৪৯ জন। সবাই পুরুষ। বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত তার কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১০৯টি। তার কেন্দ্রেও ভোটার উপস্থিতি কম।

অন্য কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আব্দুল কাদের। তার কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২২০০ জন। সবাই মহিলা ভোটার। বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত তার কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৫০টি।

bogra

এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা একেএম নাজমুল হুদা জানান, তার কেন্দ্রে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২৬৫৪ জন। বেলা পৌনে ২টা পর্যন্ত তার কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ১০০টির মতো।

ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত আনসার সদস্যদের একজন আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, কেন্দ্রে ভোটার নাই, বসে থেকে কাজ নাই। চোখে ঘুম, তাই কেউ কেউ ঘুমিয়ে পড়েছেন। প্রচণ্ড রোদের সঙ্গে গরম আবহাওয়া। কেন্দ্রে ভোটার না থাকায় অলস সময় পার করছি আমরা। এই অবস্থায় একটু ঘুম পাওয়ারই কথা।

বগুড়া জেলার ১২টি উপজেলার ৯৫৪টি কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। সকাল থেকেই জেলার ৯৫ ভাগ ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি একেবারেই কম। দুপুর ১টা পর্যন্ত অধিকাংশ ভোটকেন্দ্রে ফাঁকা দেখা গেছে।

ফাঁকা কেন্দ্রগুলোতে ভোট গ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিতরা খোশগল্প করে সময় কাটাচ্ছেন। কয়েকটি কেন্দ্রে দেখা গেছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা/কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া কেউ নেই। এমনকি নৌকা ছাড়া অন্য প্রার্থীদের এজেন্টও খুঁজে পাওয়া যায়নি এসব ভোট কেন্দ্রে।

লিমন বাসার/এএম/জেআইএম

আরও পড়ুন