টাকার অভাবে ফয়সালের দগ্ধস্থানে দেয়া হচ্ছে ‘তেলপড়া’
আগুনে ঝলসে যাওয়ার ২৩ দিন অতিবাহিত হলেও বিনা চিকিৎসায় দিন কাটছে বাকপ্রতিবন্ধী ৯ বছর বয়সী শিশু ফয়সালের।
ফয়সাল ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ৮নং বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ভাসানপোতা গ্রামের সাইদুল ইসলাম ছেলে। ফয়সাল ও তার মা মরিয়ম জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী।
প্রতিবন্ধী শিশু জন্ম দেয়ার কারণে মরিয়মকে ছাড়তে হয়েছে স্বামীর ঘর। এরপর অসহায় মা ও শিশুর পাশে দাঁড়ান দিনমজুর সাইদুল ইসলাম। মরিয়মকে দেন স্ত্রীর মর্যাদা।
অভাব-অনটনের মাঝেও স্বামী-সন্তানকে নিয়ে ভালোই চলছিল মরিয়মের সংসার। কিস্তু হঠাৎ ১৭ ফেব্রুয়ারি দুপুরে তাদের খড়ের ঘরে আগুন লেগে যায়। শিশু ফয়সাল তখন ওই ঘরেই ছিল। আগুনে দুটি ছাগলসহ থাকার ঘর ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। এসময় আগুনে ফয়সালের অর্ধেক শরীর ঝলসে গেছে।
এ ঘটনার ২৩ দিন অতিবাহিত হলেও টাকার অভাবে ফয়সালকে চিকিৎসা দিতে পারেনি তার পরিবার। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সেই পরিবারটিকে দেখতে আসেননি কোনো জনপ্রতিনিধি। গত সপ্তাহে প্রতিবেশীরা গ্রামের ডাক্তারের চিকিৎসার পাশাপাশি দগ্ধস্থানে তেলপড়ার মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করেছেন বলে জানা গেছে।
ফয়সালের বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, ডাক্তার জানিয়েছে ফয়সালের চিকিৎসা করতে বেশ কিছু টাকা খরচ হবে। কিন্তু আমার কাছেতো কোনো টাকা নেই। তাই অন্যখানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে পারিনি। আমিতো দিনমজুরু মানুষ, এত টাকা কোথায় পাব?
বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মন্ডল বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাকে জানায়নি। জানালে আমি অবশ্যই যেতাম।
ফয়সালের উন্নত চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা চেয়েছেন তার বাবা-মাসহ স্বজনরা। তাকে সহযোগিতা করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারবেন তার মা মরিয়মের সঙ্গে (মোবাইল নম্বর- ০১৯৮৯-৭৬৭০৬২)।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/আরএআর/এমএএস/পিআর