প্রেম ঘটিত কারণে রাজুকে হত্যা করা হয়
গোপালগঞ্জে কলেজছাত্র রাজু শেখকে প্রেম ঘটিত কারণে হত্যা করা হয়েছে।মামলার অন্যতম আসামি উজ্জল সরদার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য দিয়েছে।এছাড়াও হত্যা মিশনে সেসহ ৮ জন অংশ নেয় বলে জানায়।
গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ শুক্রবার বিকেলে সাভার স্মৃতিসৌধ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট নুসরাত জাবীন নিম্মীর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে উজ্জল সরদার এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে।
উজ্জল স্বীকার করেছে, সদর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের নাজমুল হোসেন গালিবের বোনের সাথে নিহত রাজু শেখের প্রেমের সম্পর্ক ছিল।এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডের কয়েকদিন আগে গালিবসহ আরো কয়েকজন মিলে রাজুকে হত্যার পরিকল্পনা করে।পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ১৬ জুলাই সন্ধ্যার পর সাগর ও হাবিবুর রহমান নামে দুই যুবক রাজুকে তার বাড়ি থেকে দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কাছে ডেকে নিয়ে যায়।সেখানে তারা তাকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যা করে। এরপর ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাঙ্কের ভিতর রাজুর লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদেরকে এসব তথ্য দিয়েছেন।
গত শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ল্যাট্রিনের সেফটি ট্যাঙ্কের ভিতর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় কলেজছাত্র রাজু শেখের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহতের মা মাবিয়া বেগম ৮ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলায় পুলিশ ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে।
এস এম হুমায়ূন কবীর/এমএএস/আরআইপি