অধ্যক্ষ-উপাধ্যক্ষ নিয়োগ পরিপত্র বাতিলের দাবি
অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ নিয়োগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পরিপত্র বাতিলের দাবি জানিয়েছেন রাজশাহীর শিক্ষকরা। সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান তারা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এ পরিপত্র জারি করে মন্ত্রণালয়। একে ‘শিক্ষক স্বার্থবিরোধী’ আখ্যায়িত করা হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে। রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম কলেজে শিক্ষক মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের ব্যানারে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন- ফ্রন্টের আহ্বায়ক শফিকুর রহমান বাদশা। তিনি নতুন পরিপত্র বাতিলের পাশাপাশি ২০১০ সালের শিক্ষানীতির আলোকে একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
বাদশা বলেন, বর্তমান পরিপত্রে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেতে শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষ এবং ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ আবেদন করতে পারবেন। কোনো শিক্ষকেরই আবেদন করার যোগ্যতা নেই। অথচ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিধান অনুযায়ী, কলেজে ১৫ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলেই অধ্যক্ষ পদের জন্য আবেদন করা যায়। তারা পরিপত্র বাতিল করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বিধান চালু রাখার দাবি জানান।
তিনি বলেন, বর্তমান পরিপত্রে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সহকারী প্রধান শিক্ষক ও জুনিয়র প্রধান শিক্ষক আবেদন করতে পারবেন। আগের পরিপত্রে ১২ বছর শিক্ষকতার অভিজ্ঞতা থাকলেই প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন
করতে পারতেন। বর্তমান পরিপত্রের কারণে অনেক অভিজ্ঞ শিক্ষক প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের আবেদন করতে পারবেন না।
এদিকে, বর্তমান সংশোধনীতে উচ্চমাধ্যমিক কলেজের অধ্যক্ষ ও ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ পদে সহকারী অধ্যাপক হওয়া বাধ্যতামূলক করায় অনেক যোগ্য শিক্ষক ২৫-৩০ বছর প্রভাষক পদে চাকরি করেও আবেদন করতে পারবেন না।
অন্যদিকে নতুন প্রতিষ্ঠানে আট বছরে সহকারী অধ্যাপক হয়ে ১২ বছর চাকরি করে অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষ পদে আবেদন করা যাবে। এটা কখনো যুক্তিসংগত হতে পারে না।
তাই তারা নতুন পরিপত্র বাতিলের দাবি জানাচ্ছেন। এর পাশাপাশি তারা ২০১০ সালের পরিপত্র অনুযায়ী সহযোগী অধ্যাপকের পদে পদোন্নতি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনুপাত প্রথা বাতিলের দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ফ্রন্ট্রের জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল বারী, অধ্যক্ষ রাজকুমার সরকার, আবদুর রাজ্জাক, মজিবর রহমান, অধ্যক্ষ জুলফিকার জুলফিকার আহমেদ গোলাপ, অধ্যক্ষ আলমগীর মালেক ও
অধ্যক্ষ এসএম রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।
ফেরদৌস সিদ্দিকী/এএম/এমএস