বাসন্তী চাকমা পাহাড়ের ‘বিষফোঁড়া’
সেনাবাহিনী ও বাঙালিদের নিয়ে জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি বাসন্তী চাকমার দেয়া বক্তব্যকে অসাংবিধানিক, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বিশেষ মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অংশ দাবি করে তাকে পাহাড়ের বিষফোঁড়া আখ্যা দিয়ে সংসদ সদস্য পদ থেকে অপসারণ ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি করেছে পাহাড়ের মানুষ।
একই দাবিতে পাহাড়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে সোমবার খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গায় বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন হয়।
‘সচেতন মাটিরাঙ্গাবাসীর’ ব্যানারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা পাহাড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়ানোর অপচেষ্টার অভিযোগ করে বলেন, বাসন্তী চাকমা পাহাড়ের বিষফোঁড়া। শান্তির জনপদ পার্বত্য চট্টগ্রামকে নতুন করে অশান্ত করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন তিনি। জাতীয় সংসদে সেনাবিহনীকে হত্যাকারী ও বাঙালিদের বহিরাগত বলে জাতীয় সংসদ সদস্য থাকার অধিকার হারিয়েছেন তিনি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুবাস চাকমা, মাটিরাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হিরনজয় ত্রিপুরা, মাটিরাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন লিটন, বাঙালি ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইঞ্জি. মো. আবদুল মজিদ, সলেন চাকমা, মাটিরাঙ্গা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব মাওলানা মো. হারুনুর রশিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এর আগে মাটিরাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিভিন্ন শান্তিপ্রিয় পাহাড়ি-বাঙালি জনগোষ্ঠী বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় বাসন্তী চাকমা আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে উল্লেখ করে মাটিরাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাটিরাঙ্গা পৌরসভার মেয়র মো. শামছুল হক বাসন্তী চাকমাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। তিনি বলেন, বাসন্তী চাকমা ক্ষমা না চাইলে তাকে পাহাড়ে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা বাসন্তী চাকমার কুশপুত্তলিকা দাহ করে উল্লাস করে।
মুজিবুর রহমান ভুইয়া/এফএ/এমকেএইচ