ইসির কবর রচনা যাতে না হয় : ইসি রফিকুল
নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে অনেক কথা উঠতেছে, তাহলে কিছু একটা আছে। অবশ্যই কিছু একটা আছে।
শনিবার বিকেলে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধান অতিথির বক্তবে ইসি রফিকুল বলেন, নির্বাচনের পরবর্তী সময়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হচ্ছে। অনেক বক্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাদের। একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর একপক্ষ বলেন সুন্দর ভোট করে দেশটাকে বাঁচিয়েছি। অপরপক্ষ বলেন খুব চমৎকার নির্বাচন করেছি আর একদল স্পষ্টভাবে বলেছেন দেশটাকে গণতন্ত্রের কবর রচনা করেছি।
ইসি রফিকুল বলেন, একটা প্রবাদ আছে যাহা কিছু রটে কিছু না কিছু বটে। কোনো প্রতিষ্ঠানের কবর রচনা করে কোনো মানুষ ভালো থাকতে পারেন না। কোনো প্রতিষ্ঠানের (ইসি) কবর রচনা যাতে না হয় সে জন্য আমি তৃণমূলে ছুটে এসেছি। কিছু একটা আছে, এই কিছু একটা থাকতে দেব না উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। এটা হতে পারে না।
তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণার কারণে সব এমপি সাহেবদের এলাকাছাড়া করতেছি। কিছু একটা আছে এটা বলার সুযোগ আর দিতে চাই না।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে রফিকুল ইসলাম বলেন, যদি অন্যায় কিছু করতে হয়, বেআইনি কাজ করতে বাধ্য করা হয় আপনারা বিরত থাকবেন। সব দায় আমার। নির্বাচন কমিশন আপনাদের পাশে থাকবে। কোনো অন্যায় কাজে আপনারা মাথানত করবেন না।
ইসি রফিকুল আরও বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনো অন্যায় কাজের বিষয়ে জানলে প্রতিহত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনারা অন্যায়ভাবে যাকে জনপ্রতিনিধি বানিয়ে দেবেন তারা পরবর্তীতে বড় কোনো অন্যায় কাজ করাতে আপনাদের বাধ্য করবে। যার জন্য অন্যায় করবেন তারাই ঘাড়ে চেপে বসবে আর অন্যায় করতে বাধ্য করাবে।
ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের হলরুমে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ৬৭৫ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। এ সময় রংপুরের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম শাহাদাত উদ্দিন, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন, পুলিশ সুপার আশরাফ হোসেন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার, ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহাবুবা আক্তার বানু উপস্থিত ছিলেন।
জাহেদুল ইসলাম/এএম/এমকেএইচ