অভিযোগকারীর হাজতবাস
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে থানায় অভিযোগ করেছিলেন এক প্রতিবেশি। আবেদনে চতুর্থ, ষষ্ট ও সপ্তম শ্রেণির পাঁচ শিক্ষার্থী, ৯৫ বছরের বৃদ্ধসহ নিরীহ আরো একাধিক জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগ পেয়ে বাদী-বিবাদীকে নোটিশ দেয় পুলিশ। নোটিশ পেয়ে সময়মতো থানায় আসে অভিযুক্ত খুদে শিক্ষার্থীসহ বৃদ্ধরা। আর তাদের দেখেই চোখ ছানাবরা থানা পুলিশের।
উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগটি হয়রানিমূলক প্রতীয়মান হওয়ায় অভিযোগকারীকে থানা হাজতে আটকে রাখে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের রামু থানায় এ ঘটনা প্রচার হওয়ার পর সর্বত্র চাঞ্চ্যলের সৃষ্টি হয়েছে। তবে রাতে আটক ব্যক্তিকে মুচলেকা দিয়ে নিয়ে গেছে তার আত্মীয়-স্বজনরা।
রামু উপজেলার চাকমারকুল ইউনিয়নের দক্ষিণ চাকমারকুল এলাকার হাজী আবু আহমদের ছেলে মো. ইসমাইল জানান, জমির বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশি মৃত মোহাম্মদ নুরের ছেলে ছাবের আহমদ তাকে এবং তার পরিবারে অন্য সদস্যদের ডাকাতি, অপহরণসহ একাধিক মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করে আসছে। এসব মামলাতেও তার মন না ভরায় সম্প্রতি ছাবেরকে প্রহারের অভিযোগ এনে রামু থানায় আবারো লিখিত আরজি দায়ের করেন। ওই অভিযোগে তাকে এবং ৯৫ বছর বয়সী বাবা হাজী আবু আহমদ, ভাই মো. মূছা, চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে আজিজুন্নেসা মিষ্টি, ষষ্ট শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে ইয়াছিন ও ইয়াসেফ, ভাইয়ের মেয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রুপা আকতার ও আখিকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগ তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রামু থানার এএসআই রাশেলের নোটিশ পেয়ে এসব শিশু শিক্ষার্থীসহ অন্যান্যরা বৃহস্পতিবার থানায় যান। থানা কম্পাউন্ডে এসব শিশু শিক্ষার্থীদের দেখে হতবাক হন থানার ওসিসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মজিদ বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শিশুদের অভিযুক্ত করে মিথ্যা অভিযোগ দেয়ার বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তাই আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বিভ্রান্ত করার অপরাধে শাস্তি স্বরূপ অভিযোগকারীকে থানা হাজতে আটকে রাখা হয়েছিলো। এ রকম অপরাধ থেকে মুক্ত থাকার অঙ্গীকারে রাতে মুচলেখা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সায়ীদ আলমগীর/এআরএ/পিআর