ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

ভোটে টাকার খেলা

জেলা প্রতিনিধি | পঞ্চগড় | প্রকাশিত: ০৮:০২ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

পঞ্চগড়ে নির্বাচনের একদিন আগে জেলা পরিষদের শূন্যপদের উপ-নির্বাচনে ভোটের লড়াই থেকে সরে দাঁড়ালেন মো. দেলদার রহমান নামে আনারস প্রতীকের এক চেয়ারম্যান প্রার্থী।

টাকার বিনিময়ে ভোট কেনাবেচার অভিযোগ এনে ভোটবর্জন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি। বুধবার বিকেলে পঞ্চগড় বিসিক নগর বিএম কলেজের অধ্যক্ষ ও আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলদার রহমান নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, নির্বাচনী কোনো আচরণবিধি মানা হচ্ছে না। পেশিশক্তি ও টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাচ্ছেন ভোটাররা। ভোটারদের কাছে যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থী কোনো মূল্যায়ন পাচ্ছেন না। প্রার্থীরা টাকার বিনিময়ে ভোট কিনছেন। ভোটাররা বলছেন, যে প্রার্থী আমাদের বেশি টাকা দেবেন, আমরা তাকেই ভোট দেব। তাই আমি মনে করছি এই অবস্থায় নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই। এজন্য নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

দেলদার রহমান আরও বলেন, এই নির্বাচনে একেকটি ভোট ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। একটি ভোট ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনেছেন প্রার্থীরা। আমার এত টাকা নেই, তাই ভোট কিনব না, নির্বাচনও করব না। তবে আমার অনুরোধ ভোটাররা যেন যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন। তা না হলে কোনো উন্নয়ন হবে না।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে এই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে আওয়ামী মনোনীত প্রার্থীসহ পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।

কিন্তু শেষবেলায় দেলদার রহমান ভোটবর্জন করায় নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন চারজন প্রার্থী। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট (মোটরসাইকেল), জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান আল আমিন (ঘোড়া), জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আপেল মাহমুদ (চশমা) এবং প্রয়াত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের স্ত্রী জহুরা বেগম (টেবিল ফ্যান)।

পঞ্চগড় জেলার পাঁচ উপজেলার ১৫টি ভোটকেন্দ্রে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে পাঁচটি উপজেলা পরিষদ, দুটি পৌরসভা ও ৪৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত ৫৮৩ জন জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।

সফিকুল আলম/এএম/এমএস

আরও পড়ুন