ঠাকুরগাঁওয়ে ৫ জনের মৃত্যু : আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই
মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে অজ্ঞাত রোগে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুর ঘটনায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ধনতলা ইউনিয়নের ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামের আবু তাহেরের বাড়ি পরিদর্শন করেছে তদন্ত টিম।
বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা থেকে আসা রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ সদস্যের এ তদন্ত টিম ওই বাড়িতে যায়।
তদন্ত টিমের সদস্যরা হলেন, ডা. গাজী শাহ আলম, ডা. তানজিনা নওরীন, ডা. দেবাশীষ কুমার শাহ, ডা. শাহনাজ পারভীন ও ডা.ইসমাইল খান।
পরিদর্শনকালে তারা ওই পরিবারের অন্যান্য সদস্য, এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলেন এবং মৃত আবু তাহেরের বাড়ির চারটি কক্ষ থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন শাহজাহান নেওয়াজ বলেন, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের পাঁচ সদস্যের তদন্ত টিমের সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করেছেন। রাজশাহী থেকে আরেকটি মেডিকেল টিম একই উদ্দেশ্যে ঠাকুরগাঁওয়ে আসছে। দুটি মেডিকেল টিমই ঠাকুরগাঁওয়ে তিনদিন অবস্থান করবে। তাদের সংগৃহিত নমুনা ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। ঢাকা থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন আসলেই পাঁচজনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এলাকায় এখন কোনো আতঙ্ক নেই উল্লেখ করে শাহজাহান নেওয়াজ আক্রান্ত এলাকার এক কিলোমিটারের মধ্যে চলাচলে দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন এবং মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার জন্য বলেন। এছাড়াও তিনি সবাইকে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে এবং কেউ অসুস্থ হলে শুধু তাকেই মার্কস পরে বের হওয়ার নির্দেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ৯ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত রোগে ভান্ডারদহ মরিচপাড়া গ্রামের ফজর আলীর ছেলে আবু তাহের (৫৫) মৃত্যুবরণ করেন। এরপর ২১ ফেব্রুয়ারি মারা যান আবু তাহেরের জামাই হাবিবুর রহমান (৩৫) ও স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫)। এর দুইদিন পর ২৪ ফেব্রুয়ারি আবু তাহেরের দুই ছেলে ইউসুফ আলী (৩০) ও মেহেদী হাসান মৃত্যুবরণ করেন এবং ও ওই পরিবারের ৬/৭ জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এতে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
রবিউল এহসান রিপন/আরএআর/এমএস