বাসরঘরে রক্তাক্ত বর
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বাসরঘরে নববধূর ছুরিকাঘাতে বর গুরুতর আহত হয়েছেন। সোমবার গভীর রাতে উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের লাউতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় বর দেলোয়ার বর্তমানে কুমিল্লার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও বর ও নববধূর পক্ষের কাউকে খুঁজে পায়নি পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, সোমবার উপজেলার পূর্ব লাউতলী গ্রামের ছিডু মিজির বাড়ির মৃত হারুনুর রশীদের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে একই উপজেলার চরমান্দারী ভূঁইয়া বাড়ির ফিরোজ আলমের মেয়ে শ্যামলী আক্তারের বিয়ে হয়। ওই দিন গভীর রাত ২টার দিকে নবদম্পতির বাসরঘর থেকে বর দেলোয়ার হোসেনের আর্তচিৎকার শুনে স্বজনরা ঘরে ঢুকে তাকে রক্তাক্ত ও গুরুতর আহত অবস্থায় দেখতে পান।
তাকে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে দেলোয়ার হোসেন কুমিল্লার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তার স্বজনরা।
স্থানীয়রা জানান, বাসরঘরে নববধূ শ্যামলী আক্তার তার স্বামী দেলোয়ার হোসেনের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেন। তবে কি নিয়ে তাদের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেছে তা জানাননি স্বামী-স্ত্রী।
বর দেলোয়ার হোসেনের বোন রুনা বেগম বলেন, দেলোয়ারের চিৎকার শুনে বাসরঘরে ঢুকে ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পাই। তার পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বাসরঘর এবং বাইরে বউ-ভাতের জন্য তৈরিকৃত প্যান্ডেল এবড়োখেবড়ো অবস্থায় পড়ে আছে। এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি মেয়ে পক্ষের কেউ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মাসুদ আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি রাতেই ঘটনাটি শুনেছি। ঘটনার পরপর আহত দেলোয়ারকে হাসপাতালে নিয়ে যান তার স্বজনরা। এ ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। তবে কি নিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানতে পারিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের ওসি মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে এ পর্যন্ত কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএম/জেআইএম