সাবেক রেকর্ড কিপারের হাতে হিসাব বিভাগের অডিটর লাঞ্ছিত
খুলনার ডুমুুরিয়ায় তুচ্ছ এক ঘটনায় উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের সাবেক দুর্নীতিবাজ রেকর্ড কিপার কর্তৃক হিসাব রক্ষণ অফিসের অডিটর শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার উপজেলার অফিস বারন্দায় এ ঘটনা ঘটে। পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে ক্ষমা চান রেকর্ড কিপার এমএ মান্নান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী সুত্রে জানা যায়, সদ্য বদলি হওয়া উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের ঘুষ ও দুর্নীতিবাজ রেকর্ড কিপার এমএ মান্নান বৃহস্পতিবার সকালে শেষ বেতনপত্র (এলপিসি) নিতে আসেন হিসাবরক্ষক অফিসে। সেখানে কর্তব্যরত অডিটর শিবপদ বিশ্বাসের নিকট জানতে চান তার এলপিসিপত্র বর্তমান কর্মস্থল ফুলতলা উপজেলায় পাঠাতে দেরি হচ্ছে কেন। দু’এক কথায় উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
এক পর্যায়ে হিসাবরক্ষণ অফিসের অডিটরকে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি দিয়ে তার জামার কলার ধরে প্রকাশ্যে টানা হেচড়া করে পোশাক ছেড়াসহ শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন ওই রেকর্ড কিপার। এ সময়ে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এসএম কামরুজ্জামান, সমাজসেবা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, পল্লী দারিদ্র বিমোচন কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার ভট্টাচার্যসহ অনেক অফিসার উপস্থিত ছিলেন।
পরে এমএ মান্নান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছে তার অপরাধের ক্ষমা চাইলেন। এ প্রসঙ্গে হিসাবরক্ষক অফিসের অডিটর শিবপদ বিশ্বাস বলেন, এলপিসি পত্রটি আমার কাছে আসে ২০ আগস্ট। আগামী ১০ কার্যদিবসের মধ্যে যথাস্থানে প্রেরণ করার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু তার আগেই অন্যায়ভাবে আমাকে লাঞ্ছিত করলো।
ঘটনার প্রসঙ্গে এমএ মান্নান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, আমার ছবি উঠানো ঠিক হয়নি। আপনাদের সঙ্গে আমার কোনো কথা নেই।
উপজেলা চেয়ারম্যান খান আলী মুনসুর বলেন, সাবেক রেকর্ড কিপার এমএ মান্নান সামান্য ঘটনা নিয়ে অশুভ আচারণ করেছেন। আমার উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংশা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ওই রেকর্ড কিপার ইতিপূর্বে ডুমুরিয়াতে প্রভাব খাটিয়ে অফিস না করেও হাজিরা খাতায় নাম তুলে এসেছেন। ওই ঘটনায় প্রতিবাদ করায় ডুমুরিয়ার সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মো. মঞ্জুর কাদের খানকেও ৫/৬ বছর আগে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। এছাড়া তার বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ রয়েছে।
আলমগীর হান্নান/বিএ