ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

মেঘনা-তেঁতুলিয়ায় জাটকা ধরার মহোৎসব

জেলা প্রতিনিধি | ভোলা | প্রকাশিত: ১২:১০ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ভোলায় সরকারি সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে অবাধে চলছে জাটক ইলিশ নিধন। ভোলা শহরসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। এতে একদিকে যেমন দেশের মৎস্য সম্পদ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে অপর দিকে সরকারও হারাচ্ছে বিশাল রাজস্ব।

জেলেরা বলছেন, নদীতে বড় মাছ না পাওয়া ও সরকারি জেলে কার্ড না থাকায় জীবিকার তাগিদে তারা কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ইলিশ ধরছেন।

ভোলা সদরের ইলিশা জংশন এলাকার হুমায়ুন মাঝি বলেন, সরকার জাটকা ধরা নিষেধ করছে আমরা জানি। কিন্তু নদীতে জাটকা ইলিশ ছাড়া অন্য কোনো মাছ ধরা পড়ে না, তাই আমরা পেটের দায়ে কারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ধরি।

একই এলাকার জেলে হামিদ মাঝি বলেন, মহাজন ও এনজিওর কাছ থেকে অনেক দেনা করে ট্রলার কিনেছি। এখন নদীতে কোনো মাছ নেই। দেনা দারেরা দেনা পরিশোধ করার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাই বাধ্য হয়ে সরকারি আইন না মেনে নদীতে গিয়ে জাটকা মাছ শিকার করছি।

রাজাপুর ইউনিয়নের জনতা বাজার এলাকার জেলে মো. মিরাজ ও ইসমাইল বলেন, আমাদের কোন জেলে কার্ড নেই। আমরা সরকারিভাবে কোনো সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না। এ কারণে জাটকা ধরছি। জেলে কার্ড পেলে জাটকা ধরতাম না।

Bhola-jatka-Hunting-News-pi

সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ঘাটের জেলে ইয়াছিন ও কামাল মাঝি বলেন, প্রতি বছর দেখি মাছ ধরা বন্ধ ঘোষণা করে মাইকিং করা হয়। কিন্তু এবার কোনো মাইকিং করা হয়নি। আমাদের ঘরে টিভিও নেই। আমাদের কেউ বলেনি যে জাটকা ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জানলে জাটকা ধরতাম না।

ভোলা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, জেলেরা নদীতে মাছ নেই বা জেলে কার্ড নেই বলে জাটকা ধরবে এটা তাদের একটা বাহানা। তারা বেশি লোভে নদীতে জারেন্ট জাল দিয়ে জাটকা ধরছে। যেসব জেলের নিবন্ধন বা জেলে কার্ড নেই তাদের নিবন্ধন করার প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি জানান।

ভোলার ইলিশা নৌ-থানা পুলিশের ওসি সুজন চন্দ্র পাল বলেন, একটি নৌ-থানায় ২৫/৩০ জন পুলিশ অফিসার থাকার কথা কিন্তু আমাদের এই থানায় মাত্র আটজন রয়েছে। তাছাড়া নদীতে অভিযান চালানোর জন্য নৌযানের দরকার হয়, কিন্তু আমাদের কোনো নৌযান নেই। ফলে আমরা নদীতে বড় কোনো অভিযান পরিচালনা করতে পারি না। তবে ছোট ছোট অভিযান পরিচালনা করি।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১০ ইঞ্চি বা ২৫ সেন্টিমিটারের নিচে ইলিশ ধরা, পরিবাহন ও বাজারজাত করার ওপর সরকারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

জুয়েল সাহা বিকাশ/আরএআর/এমকেএইচ

আরও পড়ুন