মৃত চিকিৎসকের নাম ব্যবহার করে রোগী দেখতেন তিনি
গাজীপুরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগে এক প্রতারককে আটক করেছে র্যাব-১ এর স্পেশালাইজড কোম্পানি পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সদস্যরা।
গতকাল শনিবার রাতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের চান্দনা চৌরাস্তায় আপন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটক মো. আক্তারুজ্জামান (৩৭) সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার রহিমাবাদ গ্রামের চাদ আলীর ছেলে।
র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লে. কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, প্রতারক মো. আক্তারুজ্জামান চান্দনা চৌরাস্তায় আপন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডা. মো. আকরাম হোসেন দিদার নাক, কান, গলা ও ঘাড়, মাথা ব্যথা, বিশেষজ্ঞ ও সার্জন পরিচয়ে দীর্ঘ দিন ধরে রোগী দেখছিলেন।
গোপন সূত্রে র্যাব জানতে পারে তিনি প্রকৃত চিকিৎসক নন। তার আসল নাম মো. আক্তারুজ্জামান। পরে শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখার সময় চেম্বার থেকে তাকে হাতে নাতে আটক করা হয়।
এসময় তার কাছ থেকে নাক, কান, গলা অপারেশনের বিভিন্ন যন্ত্রাপাতি, ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, অন্য ডাক্তারের সার্টিফিকেট, ভুয়া ডাক্তারি চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র, ব্যক্তিগত সিল এবং ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ দেড় হাজার উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে আক্তারুজ্জামান জানায়, বাগেরহাটের ডা. মো. আকরাম হোসেন দিদার গত ২০১৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। পরে তার নামীয় ডাক্তারি সার্টিফিকেট নিজে ব্যবহার করে আসছেন। এর আগে তিনি একই অপরাধে মাদারীপুরে র্যাবের হাতে, চাঁদপুরে পুলিশের হাতে আটক হয়ে কারাভোগ করে জামিনে মুক্তি পান। পরে গাজীপুরে এসে ৫০০ টাকা ফি-তে বিভিন্নস্থানে ফের ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখা শুরু করেন।
র্যাব আরও জানায়, আকট আক্তারুজ্জামান গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর বাজারে তানহা ক্লিনিকে নিয়মিত রোগী দেখে অপারেশন করে মানুষের জীবনকে হুমকির মুখে ফেলছেন। এভাবেই তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সাধারণ মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ চিকিৎসা সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন। এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আমিনুল ইসলাম/এমএএস/জেআইএম