ইয়াবা-মানবপাচার রোধে সহযোগিতা চাইল বিজিবি
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে ইয়াবা ও মানবপাচার রোধে সাংবাদিকসহ স্থানীয়দের সহযোগিতা চেয়েছেন টেকনাফের ২ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আছাদুদ জামান চৌধুরী। তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের নিয়ে নাফ নদে নৌ-ভ্রমণ করে বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্ট পরিদর্শনকালে এ সহযোগিতা কামনা করেন।
শনিবার বিকেলে টেকনাফ পৌরসভার মিয়ানমার ট্রানজিট জেটি ঘাটে নাফ নদে নৌ-ভ্রমণ ও সৌজন্য সাক্ষাৎকালে ২ বিজিবি অধিনায়ক সাংবাদিকদের বলেন, বিজিবির সদস্যরা সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত নদীতে টহল দেয়। অক্লান্ত পরিশ্রম করে ইয়াবা ও মানবপাচার রোধে সচেষ্ট রয়েছে। এরপরও দুষ্কৃতকারীরা অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে মানব বা ইয়াবা পাচারের চেষ্টা করেন। সীমান্তে বিজিবি সদস্যরা নিরবিচ্ছিন্নভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। সাংবাদিকরা বস্তুনিষ্ঠ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে বিজিবি আরও ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করে ইয়াবা ও মানব পাচার রোধ করতে পারবে।
বিজিবি অধিনায়ক আছাদুদ জামান বলেন, সীমান্ত এলাকায় রাতের বেলায় নাফনদীতে ১৭টি বিজিবির টহল নিয়োজিত রয়েছে। সঠিক তথ্য পাওয়া গেলে এ জনবল দিয়ে সীমান্তে দায়িত্ব পালন করা সম্ভব। নাফনদীতে দমদমিয়া এলাকায় তিনটি, টেকনাফের তিনটি, সাবরাংয়ে দুইটি, নাজিরপাড়া থেকে একটি ও শাহপরীর দ্বীপে তিনটি ট্রলার নদীতে টহল নিয়োজিত থাকে। এসব ট্রলারে ৪ থেকে ৬ জন করে জনবল নিয়োগ থাকে।
এ সময় টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ন বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর শরিফুল ইসলাম জোমাদ্দার, টেকনাফ সাংবাদিক ইউনিটির উপদেষ্টা হাফেজ মো. কাশেম, পৌর প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা আবুল কালাম আজাদ, টেকনাফ পৌর প্রেসক্লাবের সভাপতি পৌর প্যানেল মেয়র আব্দুল্লাহ মনির, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমানসহ টেকনাফে কর্মরত ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সায়ীদ আলমগীর/এফএ/আরআইপি