কুতুপালংয়ে ৩ বিদেশি সাংবাদিককে পেটাল রোহিঙ্গারা
'শিশুধরা' সন্দেহে রোহিঙ্গাদের হামলায় ৩ জার্মান সাংবাদিকসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-১ ইস্টের লম্বাশিয়া বাজারে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
রোহিঙ্গাদের হামলায় আহতরা হলেন, জার্মান সংবাদিকরা ইয়োচো লিওলি, এস্ট্যাটিউ এপল ও গ্রান্ডস স্ট্যাফু, তাদের সঙ্গে আহত বাংলাদেশি দোভাষী মো. সিহাব উদ্দিন (৪১) ও গাড়িচালক নবীউল আলম (৩০)।
উখিয়া থানা পুলিশের ওসি মো. আবুল খায়ের জানান, জার্মান সাংবাদিকরা ক্যাম্প-৪ এক্সটেনশন থেকে সংবাদ সংগ্রহ শেষে ফেরার পথে লম্বাশিয়ায় বাজারে কিছু রোহিঙ্গা শিশুকে কাপড় কিনে দিচ্ছিলেন। এ সময় তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। রোহিঙ্গাদের হাত থেকে সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে জাকির হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যও আহত হন।
ওসি আরও জানান, রোহিঙ্গারা বিদেশিদের ব্যবহৃত গাড়ি ভাঙচুর ও তাদের কাছে থাকা ক্যামেরা, কাগজপত্রসহ (পাসপোর্ট) জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয়। আহতদের উদ্ধার করে সেনা ক্যাম্পের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে কি কারণে এ হামলার ঘটনা ঘটে তা তিনি (ওসি) জানাতে পারেননি তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক রোহিঙ্গা মাঝি জানান, কাপড় ও নানা খাবার কিনে দিয়ে রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে দৃষ্টিকটুভাবে মিশছিল ওরা। তাদের খ্রিষ্টান বানিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চলছে বলে ক্যাম্পে ছড়িয়ে পড়ে। তখন ওইসব শিশুর স্বজন ও প্রতিবেশীরা জড়ো হয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। তবে তারা সাংবাদিক না এনজিও কর্মী তা হামালাকারীরা জানত না। এর আগেও বেশ কিছু এনজিও রোহিঙ্গাদের অনেককে টাকার লোভে ফেলে খ্রিষ্টান ধর্ম গ্রহণে উৎসাহ দিয়েছিল। এটি ধর্মভীরু রোহিঙ্গাদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করায় বৃহস্পতিবার এ হামলার ঘটনা ঘটে মনে করেন এ রোহিঙ্গা নেতা।
তবে ওসি মো. খায়ের বলেন, হামলাকারী রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন বলেন, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে গোয়েন্দারা। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/পিআর