শতাধিক কারবারির আত্মসমর্পণের ৮ ঘণ্টার মাথায় ইয়াবা পাচার
>> বিশ্ব ইজতেমার যাত্রীবাহী বাসে গ্যাস সিলিন্ডারে ৪০ হাজার ইয়াবা
>> এক পাচারকারী গ্রেফতার, বাসটি হানিফ পরিবহনের
>> শনিবার আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ করেন ১০২ ইয়াবা কারবারি
১০২ ইয়াবা কারবারির আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণের ৮ ঘণ্টার মাথায় গ্যাস সিলিন্ডারের ভেতর অভিনব কায়দায় লুকিয়ে পাচারের সময় ৪০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা। এ সময় এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় কক্সবাজারের লিংকরোড এলাকায় হানিফ পরিবহনের একটি বাস থেকে এসব ইয়াবা জব্দ করা হয়। বাসটি বিশ্ব ইজতেমার যাত্রীদের নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল।
গ্রেফতার ব্যক্তির নাম মো. সারোয়ার কামাল (২৮)। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার খাঞ্চনী নয়াপাড়ার দুদু মিয়ার ছেলে।
র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্প ইনচার্জ মেজর মেহেদী হাসান জানান, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী হানিফ পরিবহনের একটি বাসের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছে, এমন সংবাদ পেয়ে র্যাব-১৫’র একটি আভিযানিক দল সদরের লিংক রোড এলাকার পাকা রাস্তার উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে। গাড়ি তল্লাশির সময় বাসটির গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হলে র্যাব সদস্যরা বাসটিকে থামানোর সংকেত দেন। চালক বাসটিকে র্যাবের চেকপোস্টের সামনে থামালে র্যাব সদস্যরা যাত্রী ও গাড়ি তল্লাশি শুরু করলে বাসের ভেতর থেকে এক ব্যক্তি বের হয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করে। পালাবার সময় সারোয়ার কামালকে গ্রেফতার করে র্যাব সদস্যরা। পরে বাসের মধ্যে রাখা তার ব্যক্তিগত গ্যাস সিলিন্ডারে সুকৌশলে লুকানো অবস্থায় ৪০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, বাসটির সব যাত্রী বিশ্ব ইজতেমার জন্য কক্সবাজার হতে ঢাকার উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করে উদ্ধার ইয়াবাসহ সারোয়ার কামালকে কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার আনুষ্ঠানিক আত্মসমর্পণ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর কাছে ইয়াবা ও অস্ত্র জমা দিয়ে তারা আত্মসমর্পণ করেন। এ সময় আত্মসমর্পকারীদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
আত্মসমর্পণ করা ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে ২৯ জন ইয়াবা গডফাদারও রয়েছেন। আত্মসমর্পণের পর তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। পরে তাদের সেফহোমে পাঠানো হয়। আত্মসমর্পণকালে তারা ৩ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা ও ৩০টি দেশীয় পিস্তল জমা দেন।
সায়ীদ আলমগীর/জেডএ