বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ
উজান থেকে নেমে আসা পানিতে নওগাঁর ছোট যমুনা নদী ও আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত এলাকাগুলোর বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি দুর্ভোগ। জেলার আত্রাই, রাণীনগর ও মান্দা উপজেলার কয়েকশ ঘর-বাড়ি এখনো পানির নিচে।
নলকূপ ডুবে থাকায় খাবার পানির সংকটে ডায়রিয়াসহ নানা রোগব্যাধি দেখা দিচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ হিসেবে সীমিত আকারে চাল ও শুকনো খাবার সরবরাহ করা হলেও খাবার পানি ও স্যালাইন সরবরাহ করা হচ্ছে না বলে জানায় বন্যা দুর্গত মানুষ।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বুধবার থেকে নদীর পানি কমতে শুরু করায় বিভিন্ন এলাকা থেকেও পানি নামতে শুরু করেছে। ভেসে উঠেছে ভাঙাচোরা সড়ক। কিন্তু তিন উপজেলায় প্রায় ৭০টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় এখনো কয়েকশ ঘরবাড়ি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ। অনেক জায়গায় এখনো বন্যা দুর্গতরা খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
এদিকে পানির নিচে নলকূপগুলো নিমজ্জিত থাকায় পানীয় জলের তীব্র সংকট চলছে। আত্রাইয়ের সাহাগোলা, মনিয়ারি, ভোঁপাড়া, রাণীনগরের গোনা, কাশমপুর, বরগাছা, মিরাট, মান্দার কশব, নুরুল্লাবাদ ও বিষ্ণুপুর এলাকার ঘরে ঘরে ডায়রিয়াসহ নানা রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন একেএম মোজাহের হোসেন জাগো নিউজকে জানান, বন্যা-পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনটি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সার্বক্ষণিক বাড়তি চিকিৎসক কাজ করছে। দুর্যোগের কারণে চিকিৎসকদের ছুটি নিতে নিষেধ করা হয়েছে।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিরুল ইসলাম পাটোয়ারী জাগো নিউজকে জানান, ছোট যমুনা নদীর বাঁধ ভেঙে রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই উপজেলার ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার পক্ষ থেকে আত্রাই উপজেলায় ১৫ মেট্রিক টন এবং রাণীনগর উপজেলায় ১০ মেট্রিক টন ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা কবলিত লোকজনের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মেহেদি-উল-সহিদ জাগো নিউজকে জানান, আত্রাই, রানীনগর ও মান্দা উপজেলার বন্যা দুর্গতদের সাহায্যার্থে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ৩৮ মেট্রিক টন চাল এবং নগদ ৭৫ হাজারা টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এসএস/আরআইপি