দুই সহযোগী বলে দিল ‘গডফাদার’ যুবলীগ নেতা
বগুড়ার ধুনট উপজেলায় মাদক মামলায় গোপালনগর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বকুল হোসেনকে (৪৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বকুল হোসেন উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের মহিশুরা গ্রামের হবিবর রহমানের ছেলে। শনিবার বেলা ২টার দিকে ধুনট থানা থেকে আদালতের মাধ্যমে তাকে বগুড়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর শনিবার সকালে ধুনট উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ভিপি শেখ মতিউর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক বনি আমিন মিন্টু স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বকুল হোসেনকে দল থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, বকুল হোসেন দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি করে আসছেন। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে অভিযান চালিয়ে বকুল হোসেনের সহযোগী উপজেলার গোপালনগর ইউনিয়নের বানিয়াগাঁতী গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে ফারুক হোসেন (৩৫) ও সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে আব্দুল মান্নান স্বর্ণকারকে (৩৮) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ২০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুলিশ।
এর মধ্যে ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে বগুড়ার ধুনট থানায় তিনটি, চট্টগ্রামের চন্দনাইশ থানা ও কক্সবাজারের টেকনাফ থানায় একটি করে মাদক মামলা রয়েছে। বকুল হোসেন মাদক ব্যবসার ওই এলাকার ‘গডফাদার’ বলে পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ফারুক হোসেন। শুক্রবার রাতেই অভিযান চালিয়ে মহিশুরা বাজার এলাকা থেকে বকুল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ধুনট থানা পুলিশের ওসি ইসমাইল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বকুল হোসেনের সার্বিক সহযোগিতায় ফারুক হোসেন ও আব্দুল মান্নান মাদক ব্যবসা করে আসছেন। তাদের ব্যবসার সঙ্গে এলাকার বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। মামলা তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না।
লিমন বাসার/এএম/এমকেএইচ