‘আমি এতিম, চলে গেলাম’
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে বন্যা খাতুন (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মুন্সিগঞ্জ স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বন্যা খাতুন আলমডাঙ্গা উপজেলার মুন্সিগঞ্জ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। তার মরদেহের পাশ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।
চিরকুটে লেখা রয়েছে- ‘আর কাউকে কখনো জ্বালাব না, কেউ আর আমাকে বকাও দিতে পারবে না। আমি এতিম, চলে গেলাম। এই চিঠিটি যখন পাবে তখন আমি এই পৃথিবীতে আর থাকব না।’
আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সি আসাদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত বন্যার মামা কদর আলী জানান, খুব ছোটবেলাতে বন্যার বাবা-মা মারা গেলে নিজ বাড়িতে রেখে সন্তান স্নেহে বড় করি। ছোটবেলা থেকেই প্রচণ্ড অভিমানী ছিল সে। দুপুরের পর বাড়িতে কিছু না বলেই বের হয়ে যায়। আমরা তাকে খুঁজতে থাকি। এরপর বিকেলে ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যুর খবর পাই।
স্থানীয় জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, বিকেল ৩টার কিছু পরে বন্যাকে মুন্সিগঞ্জ স্টেশনে ঘুরাফেরা করতে দেখেন স্থানীয়রা। বিকেল ৪টার দিকে রাজশাহী থেকে খুলনাগামী রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মুন্সিগঞ্জ স্টেশন অতিক্রম করার সময় দাঁড়িয়ে থাকা বন্যা হঠাৎ ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়।
আরএআর/পিআর