ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

বিনা চিকিৎসায় মরতে বসেছে অভাগী সালমা

জেলা প্রতিনিধি | মানিকগঞ্জ | প্রকাশিত: ১০:০০ এএম, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ সালমা বেগম। অগ্নিদগ্ধ হয়ে তার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে ৫ দিন চিকিৎসা করালেও, টাকার অভাবে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে তাকে।

সালমা বেগমের বাড়ি মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার গোলাপনগর গ্রামে। তার স্বামী রুবেল মিয়া একজন দিনমজুর।

পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সকালে নিজ বাড়িতে মাটির চুলায় রান্না করছিলেন সালমা। অসাবধানতাবশত তার গায়ের কাপড়ে আগুন লেগে যায়। গুরুতর অবস্থায় তাৎক্ষণিক পরিবারের লোকজন তাকে ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সালামকে পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে।

সেখানকার চিকিৎসকরা জানান, সালমার শরীরের ৩০ ভাগ পুড়ে গেছে। তাকে দীর্ঘদিন চিকিৎসায় থাকতে হবে। তবে চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি হবে। টানা ৫ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিতে সালমার খরচ হয়েছে প্রায় ৮০ হাজার টাকা। যার সবটুকুই মানুষের কাছ থেকে ধার-দেনা করে পরিশোধ করা।

সালমাকে সুস্থ করতে হলে আরও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। কিন্ত দরিদ্র স্বামীর পক্ষে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বার্ন ইউনিট থেকে সালমাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। এখন তিনি বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন।

সালমার স্বামী রুবেল মিয়া জানান, তার নিজের কোনো জমি-জমা নেই। অন্যের জমিতে কাজ করে তার সংসার চলে। তাদের সংসারের ২ বছরের একটি মেয়ে আছে। সালমা বর্তমানে তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এমতাবস্থায় স্ত্রীকে বাঁচাতে তিনি বিত্তবানদের সাহায্য প্রার্থনা করেছেন।

অগ্নিদগ্ধ সালমা বেগম জানান, ছোট বেলাতেই তার বাবা-মা মারা যান। এরপর চাচার কাছেই মানুষ হয়েছেন। তারাই তাকে বিয়ে দিয়েছেন। আত্মীয়-স্বজন বলতে তেমন কেউ নেই। টাকার অভাবে তিনি চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

সুন্দর এই পৃথিবীতে বাঁচার আকুতি জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আমাকে বাঁচান। আমি বাঁচতে চাই। ছোট্ট মেয়েটা আর অনাগত সন্তানের জন্য হলেও আপনারা আমাকে সাহায্য করুন।

বি.এম খোরশেদ/এফএ/এমএস

আরও পড়ুন