সিলেট-জেদ্দা ৮ সেপ্টেম্বরের হজফ্লাইট বাতিল
সিলেট-জেদ্দা সরাসরি আরো একটি হজফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বরের নির্ধারিত ফ্লাইটের জন্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক যাত্রী দিতে না পারায় সেটি বাতিল করেছে বিমান বাংলাদেশ। এর আগে গত ২৩ আগস্টের প্রথম ফ্লাইটও একই কারণে বাতিল হয়েছিল।
বিমান বাংলাদেশ বলছে, অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের(হাব) ব্যর্থতার কারণেই দুইটি ফ্লাইটই বাতিল করতে হয়েছে।
বিমান বাংলাদেশের সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক সালমান হায়দার চৌধুরী জানান, প্রত্যেক ফ্লাইটে তাদের ৪১৯টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে ৮ সেপ্টেম্বরের ফ্লাইটের জন্যে হজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সিলেট শাখা ২২৭ যাত্রীর ব্যবস্থা করতে পেরেছে। বিপুল সংখ্যক আসন খালি থাকায় সিলেট-জেদ্দা সরাসরি ওই ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। তবে, ৩১ আগস্ট ও ১৩ সেপ্টেম্বরের ফ্লাইটের যাত্রী পাওয়ায় তা চূড়ান্ত বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, স্থানীয় হাব নেতাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে সিলেট-জেদ্দা সরাসরি চারটি হজ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এরমধ্যে ২৩ সেপ্টেম্বরের প্রথম ফ্লাইটিই বাতিল করতে হয়েছে। সর্বশেষ ৮ সেপ্টেম্বরেরটি বাতিল হওয়ায় দুইটি ফ্লাইট তাদের বাতিল করতে হল। আমরা হাবের চাহিদার প্রেক্ষিতে ফ্লাইটের জন্যে ঢাকায় আবেদন করি। ফ্লাইট সিডিউল চূড়ান্ত করে এইভাবে বাতিল করতে হলে, তাদের বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
৮ সেপ্টেম্বরের ফ্লাইট এখনও পর্যন্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারপরও চেষ্টা চলছে সিলেটের ২২৭ যাত্রীর সঙ্গে ঢাকা থেকে বাকি যাত্রী পূরণ করে ফ্লাইট ঠিক রাখা যায় কি না। তবে এটা কতটা সম্ভব হবে তা এখনও নিশ্চিত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত কিছু করতে না পারলে, ৮ সেপ্টেম্বরের ফ্লাইটে সিলেট যেসব যাত্রীদের যাবার কথা রয়েছে তাদের ঢাকা হয়ে যেতে হবে।
অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সিলেট শাখার সভাপতি মনসুর আলী খান বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি যাত্রী দিতে। এনিয়ে বিমান বাংলাদেশ ও হজ এজেন্সির মধ্যে দুই দফা বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তারপরও যাত্রী মেলানো সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো বলেন, এই সমস্যাটি হয়েছে মদীনায় বাড়ি ভাড়ার সিডিউলের কারণে। সেখানে আট দিনের বেশি হজযাত্রীদের বাড়ি ভাড়া দেয়া হয় না। আর এর ফলে দেখা গেছে ৮ তারিখের ফ্লাইটে গেলে কোনো হাজি বাড়ি ভাড়ার দিনের আগে কেউ বা পরে যাচ্ছেন। এতে ওই দিনের ফ্লাইটে যাত্রী সঙ্কট দেখা দিয়েছে।
ছামির মাহমুদ/এআরএ/আরআইপি