কাঁদলেন আওয়ামী লীগ নেতা
মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে কাঁদলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সোয়েব আহমদ। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউপির চেয়ারম্যান।
রোববার দুপুর ১টার দিকে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বড়লেখা পৌরশহরের ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন চেয়ারম্যান প্রার্থী সোয়েব আহমদ।
এদিকে, উপজেলা নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম সুন্দরের মনোনয়ন বাতিল এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সদর ইউপি চেয়ারম্যান সোয়েব আহমদকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
দুপুরে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বড়লেখা পৌরশহরে এ বিক্ষোভ মিছিল হয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
মিছিল নিয়ে পৌরশহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌরশহরের ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে এক সভার আয়োজন করেন দলীয় নেতাকর্মীরা। এতে বক্তব্য দেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সোয়েব আহমদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তানিমুল ইসলাম তানিম ও সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমদ।
এ সময় সোয়েব আহমদ বলেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মতামত উপেক্ষা করে কালো টাকার বিনিময়ে আমাকে মনোনয়নবঞ্চিত করা হয়েছে। এর প্রতিবাদে নেতাকর্মীরা দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে মনোনয়ন প্রত্যাখ্যানের যে দাবি তুলেছেন, আমি নেতাকর্মীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করলাম।
বক্তব্যের একপর্যায়ে সোয়েব কান্নায় ভেঙে পড়েন। এ সময় উপস্থিত অনেক নেতাকর্মী কাঁদতে থাকেন। দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সোয়েব বলেন, আপনার যে সিদ্ধান্ত দেবেন, আমি তা মেনে নেব।
উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, ত্যাগী নেতাকে বাদ দিয়ে কেন্দ্রের এই হঠকারী সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখ্যান করলাম। সেই সঙ্গে রফিকুল ইসলাম সুন্দরের মনোনয়ন আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাতিল এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোয়েব আহমদকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানাই।
এই দাবি এখানের সব নেতাকর্মীর প্রাণের দাবি। দল ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হলে সোয়েব ভাইকে মনোনয়ন দিতে হবে। অন্যতায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সোয়েব আহমদকে নিয়ে আমরা নির্বাচন করব। জনতার নেতাকে ভোটের মাধ্যমে জয়ী করে এই হঠকারী সিদ্ধান্তের জবাব দেব আমরা।
রিপন দে/এএম/পিআর