সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস আজ
আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস আজ। ২০১৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জন্ম ১৯৪৫ সালের ৫ মে দিরাই উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পরে ঢাকা সেন্ট্রাল ল কলেজ থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থী রাজনীতির মধ্য দিয়ে। ছাত্রজীবনে ছাত্র ইউনিয়নের পক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ভিপি প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। পরে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (ন্যাপ) যোগ দেন। ১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বাইরে ন্যাপ থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সংবিধান প্রণেতা কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে মোট সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এই রাজনৈতিক নেতা। ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদের সদস্য থাকাকালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সুরঞ্জিত প্রথমে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এবং পরে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন। ১৯৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনে হেরে গেলেও পরে হবিগঞ্জের একটি আসনে উপনির্বাচন করে বিজয়ী হন তিনি। ওই সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা নিযুক্ত হন।
২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পান। ২০১১ সালের ২৮ নভেম্বর নবগঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও ক্ষমতায় এলে তিনি আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনীত হন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করে গেছেন।
২০১২ ও ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের দুটি সম্মেলনেই দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হন সুরঞ্জিত। একই সঙ্গে তিনি ছিলেন দলের মনোনয়ন বোর্ডেরও একজন সদস্য। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দলীয় এসব পদে দায়িত্ব পালন করে গেছেন তিনি।
সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার নানা কর্মসূচি নিয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এছাড়াও সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে দিরাই ছাত্র কল্যাণ পরিষদ স্মরণ সভার আয়োজন করে।
আরএআর/এমএস