সন্দ্বীপসহ চট্টগ্রামের চার বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন বুধবার
সন্দ্বীপে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্পসহ চট্টগ্রামের চার বিদ্যুৎ প্রকল্প উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামীকাল বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
এ ছাড়াও উদ্বোধনের তালিকায় থাকা অপর তিন বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে জুলধা একশ' মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, বারৈয়ারহাট ও শিকলবাহা ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উপ-কেন্দ্র।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার মো. রাজিব হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে বিভিন্ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। তার মধ্যে চট্টগ্রামের চারটি বিদ্যুৎ প্রকল্পও উদ্বোধন করবেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে (২০১৪-১৯) সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্প হচ্ছে প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত সন্দ্বীপের সাবমেরিনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রকল্প। গত বছরের ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় প্রথমবারের মতো ১৫ কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয় সন্দ্বীপকে। এ ধরনের সাবমেরিন প্রকল্প দক্ষিণ এশিয়াতে প্রথম।
জানা যায়, ২০১৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদনের পর আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া ও কার্যাদেশ সম্পন্ন হয়। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেডটিটির মাধ্যমে ১৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর।
প্রথমে সন্দ্বীপের বাউরিয়া বেড়িবাঁধ থেকে মাটি খুঁড়ে ১০ ফুট নিচ থেকে ড্রেন করে টানা হয় সাবমেরিন ক্যাবল। ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় ওয়াটার জেটের সাহায্যে সন্দ্বীপ চ্যানেল নদীর তলায় মাটির ১০ থেকে ২০ ফুট গভীরে দুটি সাবমেরিন ক্যাবল বসানোর কাজ। জাতীয় গ্রিড থেকে ১১ কেভি (কিলো ভোল্ট) ক্ষমতাসম্পন্ন ৩টি তার সীতাকুণ্ডের বাকখালী সাবস্টেশনে আসে।
সাবস্টেশন থেকে ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ৩৩ কেভি একত্রিত হয়ে একটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে নদীর তলদেশ দিয়ে বিদ্যুৎ এসে সংযুক্ত হয় বাউরিয়াঘাট এলাকায় স্থাপন করা ট্রান্সমিটারে। সেখান থেকে আবারও ১১ কেভি করে ভাগ হয়ে ৩টি তারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে এনাম নাহারের পশ্চিমের সাবস্টেশনে। ওই সাবস্টেশন থেকে সরবরাহ লাইনের মাধ্যমে গ্রাহকের কাছে পৌঁছবে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুৎ।
এসআর/এমকেএইচ