বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় জিরো লাইনে ৩৫ পরিবার
মিয়ানমারের চিন প্রদেশ বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা। সেখানে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘরে ঘরে গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে। নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে ওই জায়গার বেশকিছু পরিবার বাংলাদেশের দিকে অগ্রসর হয়েছে বলে জানিয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
জেলা প্রশাসক বলেন, বান্দরবানের রুমা উপজেলার রোমাক্রি ইউনিয়নের দুর্গম চৈক্ষ্যং এলাকাটি বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত। সীমান্তের জিরোলাইনের কাছে ১২টি খুমি পরিবারের নারী, পুরুষ ও শিশুসহ মোট ৪৮ জন এবং ২৩টি রাখাইন পরিবারের মোট ৭৬ জন সদস্য অবস্থান করছে। ধারণা করা হচ্ছে, তারা যে কোনো সময় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।
বিজিবির বান্দরবান সেক্টরের সেক্টর অধিনায়ক কর্নেল জহিরুল ইসলাম জানান, জিরোলাইনে থাকা শরণার্থীরা যাতে কোনোভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সীমান্তে সতকর্তা জারি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ডিসেম্বর থেকে মিয়ানমারের রাখাইন ও চিন রাজ্যে শক্তিশালী বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপ আরাকান আর্মি দেশটির বিজিপি ও সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি স্থাপনায় হামলা করে। এরপর থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। ওই সংঘর্ষের জেরে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সদস্যরা সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের ঘরে ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে।
এছাড়া ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে রোহিঙ্গাদের ব্যাপক সংঘর্ষের পর সেখান থেকে ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। এবার মিয়ানমারের অন্যান্য সম্প্রদায়ের লোকজনও বাংলাদেশে শরণার্থী হয়ে আসার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা।
সৈকত দাশ/এফএ/আরআইপি