হালিম হত্যায় ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক ও দিঘলিয়া উপজেলার সেনহাটী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম গাজী হত্যা মামলায় ২৪ জনের নামে অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সালমা আক্তারের কাছে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক শেখ শাহজাহান এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
দিঘলিয়া আদালতের জেনারেল রেকর্ড অফিসার (জিআরও) উপ-পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, যে ২৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে তারা হলেন, গাজী ইমরান হোসেন ওরফে মনিরুল (৩৪), মোল্লা জুলকার নাঈম ওরফে মারজান আহমেদ ওরফে মুন্না (২৮), মো. ইসতিয়াক হোসেন ওরফে ইস্তি (২২), মো. শাকিল হোসেন ওরফে রানা (২৭), জাহিদ হাওলাদার (২৫), তাইজুল ইসলাম ওরফে রাজু (২৭), মো. মারুফ হোসেন শেখ (৩৬), মো.সেলিম মল্লিক (৩২), শহীদুল ইসলাম ওরফে শাহীন (৪৫), শাওনুল ইসলাম ওরফে শাওন (২২), রবিউল ইসলাম ওরফে বাবু (২৪), গাজী মো. এনামুল হাসান ওরফে মাসুম (৩২), মো. নুরুল ইসলাম গাজী ওরফে নুরু গাজী (৪৭), মো. শাহীন শেখ (২৪), গাজী মো. ইমরান হোসেন (২৫), গাজী মো. জাহিদুল ইসলাম (৪৮), মো. মানিক মোল্লা (৩৮), মো. আনিছুর রহম্না (৪৮), মুরাদ শেখ ওরফে গালকাটা মুরাদ (৩২), মো. মাসুদ সরদার (৩০), মাসুদ (৩০), মো. দিদার মোল্লা (৪৮), তরিকুল ইসলাম (২৭) ও মো. হুমাঢূন কবীর (৩০)।
অভিযোগপত্রের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদে কাজ শেষ করে বেলা ৩টার দিকে মোটরসাইকেলযোগে চন্দনীমহল নিজ বাড়ি ফিরছিলেন চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম গাজী। পথিমধ্যে গোয়ালপাড়া মোড় নামক স্থানে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি চালায় এবং আগ্নেয়াস্ত্রের বাট দিয়ে মাথায় আঘাত করে।
গুলিবিদ্ধ হালিমকে দ্রুত উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ নভেম্বর তিনি মারা যান।
এর আগে ৩১ অক্টোবর আব্দুল হালিম গাজীর স্ত্রী ফারহানা হালিম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে দিঘলিয়া থানায় হত্যা প্রচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। ২০১২ সালের ১৩ মার্চ দিঘলিয়া থানা থেকে সিআইডিতে মামলাটি তদন্তের জন্য স্থানান্তরিত হয়।
আলমগীর হান্নান/এআরএ/আরআইপি