ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

পূর্ব বিরোধে খুন হন যুবলীগ কর্মী পানি মাসুদ

নিজস্ব প্রতিবেদক | চট্টগ্রাম | প্রকাশিত: ১২:৪৫ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

চট্টগ্রাম নগরের আকবর শাহ থানা এলাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত যুবলীগ কর্মী মো. মাসুদ (৩৩) ওরফে পানি মাসুদ পূর্ব বিরোধের জেরে খুন হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ ও স্থানীয়রা। শুক্রবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরের আকবর হাউজিং এলাকার বেলতলী ঘোনা ফারুক চৌধুরীর মাঠ এলাকায় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মাসুদ এলাকায় পানি মাসুদ নামে পরিচিত। তিনি রেলওয়ের একজন পানির ঠিকাদার এবং আকবর শাহ মাজার এলাকার বাসিন্দা আবুল বাশারের ছেলে। স্থানীয় ৯ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, জাতীয় নির্বাচনের আগে সীতাকুণ্ডের বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের পক্ষে ৯নং উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড যুবলীগ মিছিল বের করে। এ সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের অপর একটি পক্ষ সে মিছিলে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনাও ঘটে। সে সময় আবু বক্কর (৩০) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মীর সঙ্গে পানি মাসুদের বিরোধের সৃষ্টি হয়।

অপর একটি সূত্র জানায়, আকবর শাহ থানার পাঞ্জাবী লেইন এলাকার জনৈক আব্দুল জলিলের সঙ্গে নিহত পানি মাসুদের বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের জেরে শুক্রবারের (১ ফেব্রুয়ারি) ঘটনা ঘটে। আব্দুল জলিলের ছেলে আবু বক্কর নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক গিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় বক্করের সঙ্গে তার ভাই ফারুক (২৮) এবং মোস্তফা আমির (২৫) নামে এক যুবক ছিলেন। আক্রমণকারীরা মাসুদকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।

আহত অবস্থায় মাসুদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় জড়িত একজনকে আকবর শাহ থানা পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

এ বিষয়ে কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম বলেন, ‘পূর্ব বিরোধের জেরে বক্করের নেতৃত্বে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় জড়িতরা মাদক ব্যবসায়ী। মাদক ব্যবসায় বাধা দেয়ায় দলের কিছু নামধারী নেতার প্রশ্রয়ে এ কাজটি তারা করেছে। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।’

আকবর শাহ থানার ওসি জসিম উদ্দীন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আধিপত্য বিস্তার এবং রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি।’

আবু আজাদ/আরএস/এমএস

আরও পড়ুন