ভিডিও EN
  1. Home/
  2. দেশজুড়ে

দালাল ধরে মালয়েশিয়ার পথে রওনা, অতঃপর...

জেলা প্রতিনিধি | ঝিনাইদহ | প্রকাশিত: ০৯:৪১ এএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

আদম ব্যাপারীর খপ্পরে পড়ে প্রায় আড়াই বছর আগে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গাড়ামারা গ্রামের ৮ জন মালয়েশিয়া যেতে ঘর ছাড়েন। তারও আগে ঘর ছাড়েন মহামায়া গ্রামের এক ব্যক্তি। কিন্তু সেই থেকে তারা নিখোঁজ রয়েছেন। এ ঘটনায় গাড়ামারা গ্রামের অভিযুক্ত দালাল আতিয়ার রহমানের নামে মামলা হলেও জামিনে মুক্ত হয়ে বিদেশ চলে গেছেন তিনি। এখন নিখোঁজদের জীবিত ফিরে পাওয়ার আশাই যেন ক্ষীণ হচ্ছে স্বজনদের।

জানা গেছে, সদরের হলিধানি ইউনিয়নের গাড়ামারা গ্রামের আতিয়ার রহমানের চটকদারি কথার খপ্পরে পড়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ৮ যুবক। তারা হলেন- গ্রামের মধ্য পাড়ার ইদ্রিস আলির ছেলে আবু বকর (৩০), পচা মোল্লার ছেলে লাল চাঁদ (৪০), বসির উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা মচু (২৮), শাহী উদ্দিনের ছেলে আলম হোসেন (৩৪), শহর আলির ছেলে নাজমুল হক (৩৫), লুৎফর রহমানের ছেলে অলিয়ার রহমান (২৬) ও দুলাল হোসেনের ছেলে ফরিদ হোসেন (৩৫) এবং একই উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের মহামায়া গ্রামের জালাল উদ্দিন। পরিবারের সঙ্গেও তাদের কোনো যোগযোগ নেই বলে জানা গেছে।

অভিযুক্ত আদম ব্যাপারী আতিয়ার রহমানের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা রাজি হননি। আর আতিয়ার বিদেশ থাকায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

তবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কয়েকজন জানান, সকলেই একই বয়সের, একই সঙ্গে থাকত এবং কাজ করত। আতিয়ারের খপ্পরে পড়লে অনেক বোঝানো হলেও তারা শোনেনি। ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিয়ে মালেয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে ঢাকাতে যায়। পরে জানা যায়, দালাল তাদের পানি পথে মালয়েশিয়ায় নিয়ে যাবে। ট্রলারে ওঠার পর কথাও হলো। কিন্তু ওটাই শেষ কথা। দীর্ঘ প্রায় আড়াই বছর আর কোনো যোগাযোগ নেই।

নিখোঁজদের স্বজনরা জানান, দালাল আতিয়ারের নামে মামলা করা হয়েছিল। পুলিশ আতিয়ারকে আটকও করেছিল। কিন্তু কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি ছেলেদের। আতিয়ার কিছুদিন জেলহাজতে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়ে মলয়েশিয়ায় চলে গেছে। এখন আর ছেলেদের সম্পর্কে কেউ কোনো খোঁজ খবর দিতে পারে না। দিন যতই যাচ্ছে ছেলেদের জীবিত ফিরে আশাটাও কমে আসছে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান খান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজখবর নিয়ে দেখব।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এফএ/এমএস

আরও পড়ুন