শামীম ওসমানকে জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন সিয়ামের নানি
নারায়ণগঞ্জে রূপার একটি ব্রেসলেট নিয়ে দ্বন্দ্বে সিয়াম (১৭) নামে এক হোসিয়ারি শ্রমিককে হত্যা করে তারই বন্ধুরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিয়াম হত্যার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমানের দ্বারস্থ হয় তার পরিবার।
এ সময় সিয়ামের নানি আলেয়া বেগম শামীম ওসমানকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে থাকেন। অন্যদিকে পা জড়িয়ে ধরেন সিয়ামের বাবা সোহেল। এ সময় শামীম ওসমান এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।
মাসদাইর লিচুবাগ এলাকার সিয়াম হত্যার সুষ্ঠ বিচার, হাত্যাকারীদের গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মিছিল নিয়ে চাষাড়ার রাইফেলস ক্লাবে শামীম ওসমানের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করে তার সঙ্গে দেখা করেন নিহত সিয়ামের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী। শামীম ওসমানকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে নিহত সিয়ামের পরিবার। কাঁদতে কাঁদতে তার পায়ে পড়ে যান সিয়ামের বাবা সোহেল। নাতি নাতি বলে আহাজারি করতে করতে শামীম ওসমানকে জড়িয়ে ধরেন নানি আলেয়া বেগম। নিহতের পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী সিয়াম হত্যার সুষ্ঠু বিচার ও হত্যাকারীর সহযোগীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
সবার কথা শোনার পর সংসদ সদস্য শামীম ওসমান নিহতের পরিবারকে আশ্বস্ত করে বলেন, আমি এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে অবগত। আমি বিষয়টি দেখবো, আপনারা চিন্তা করবেন না।
প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটি কলোনির পেছন থেকে সিয়ামের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সিয়ামের বন্ধু নিলয়কে (১৮) আটক করা হয়েছে।
নিহত সিয়াম ফতুল্লার দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার বাজনাপট্রি এলাকার হামিদার বাড়ির ভাড়াটিয়া সোহেল মিয়ার ছেলে। সে শহরের উকিলপাড়া এলাকায় অবস্থিত আজিজুর রহমানের হোসিয়ারির শ্রমিক ছিল। একটি ব্রেসলেট নিয়ে সিয়ামের সঙ্গে তার বন্ধু একই এলাকার হোসিয়ারী শ্রমিক নিলয়ের দ্বন্দ্বের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে দাবি সিয়ামের পরিবারের।
আরএআর/আরআইপি